নেতাই দিবসের প্রস্তুতি কর্মসূচিতে যোগ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর

0
87

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

৭ই জানুয়ারি নেতাই দিবস। প্রতিবছর ঐদিন সকালে নেতাই গ্রামের শহীদ বেদিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম শহরের বিজেপি কার্যালয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ঝাড়গ্রাম এসেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

soumen mahapatra | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সেদিন তিনি বলেছিলেন নেতাই গ্রামের সঙ্গে তিনি অতপ্রোতভাবে জড়িত, প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও ৭ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামের শহীদ বেদিতে মাল্যদান করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তার জন্য বিজেপি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠা দিবসে থিমসঙের উদ্বোধন

কিন্তু শনিবার নেতাই দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি কর্মসূচি গ্রহণ করল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এদিনের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, লালগড় ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো সহ নেতাই গ্রামের এবং লালগড় ব্লকের একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব।

যদিও নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি দ্বারাকানাথ পন্ডা পরিষ্কার জানিয়ে ছিলেন,”শুভেন্দু কি রং করবেন এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার শুভেন্দু নেতাই গ্রামের শুভাকাঙ্ক্ষী তাই নেতাই গ্রামের মানুষ সর্বদা শুভেন্দু বাবুর পাশেই থাকবে।”

আরও পড়ুনঃ খালের জলে রেশন কার্ড,হতবাক গ্রামবাসী

যদিও কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ৭ই জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এই চার জেলায় “হুড়কা জ্যাম” নামক বনধের ডাক দিয়েছে। ফলস্বরূপ এই জঙ্গলমহলের চার জেলায় ভালোই প্রভাব রয়েছে কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের। নেতাই দিবসের দিন কুড়মিদের বনধ বিশেষ গুরুত্ব রাখবে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে বলে অনেকের দাবি।

এদিন নেতাই দিবসের প্রস্তুতি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন,”নেতাইয়ে যে ৯ জন মারা গিয়েছিলেন, পুলিশ তার একটা লাশ গায়েব করে দিত। প্রথম সরস্বতী বোনের লাশ চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কেউ না এলে পুলিশ তার কাউন্টেই আনত না।

আরও পড়ুনঃ উলটপুরাণ! কেশপুরে তৃণমূল,বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ শতাধিক পরিবারের

সেই মুহূর্তে পুলিশের ভ্যানে করে লাশ নিয়ে যাচ্ছিল। একটা মানুষ প্রচার পেয়েছে। কার্যত প্রচার পেয়েছে। দেবতা বর দিলেন। মহিষাসুর তৈরি হল। মহিষাসুর এবার বলছেন আমি দেবতার মাথায় আঘাত করে প্রমাণ করি সত্যিই বরটা সফলতা পাই কিনা।

আজকে সেই জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যে এত নেতা এত কথা বলছি! আমার পেছন দিক থেকে ঘাসফুলটা সরিয়ে নিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা সরিয়ে নিন, তাহলে আমার মিটিং যারা এতজন শুনছেন তাঁরা এতজন থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলায় যুবকের মৃত্যু

শুধু চেয়ার যারা ভাড়া দিয়েছেন তারা ছাড়া আর কেউ বসে থাকবে না। এটাকে ব্যক্তিগত ভাবে যদি বলি এই আন্দোলন আমার। নেতাইয়ে এসে সেই মানুষটি বুঝতে পারবেন কতটা এই দলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আসলে মানুষ যখন রাজনৈতিক ভাবে ধ্বংস হতে চাইছেন তখনই তার বুদ্ধিনাশ হয়।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here