প্রীতম সরকার, স্পোর্টস ডেস্কঃ
গত বছরের শেষ দিকে নিজের অবসরের কথা ঘোষনা করেছিলেন ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। তার কথা মতো ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্স তাঁর পেশাদার টেনিস সার্কিটে শেষ বছর। কিন্তু করোনার মহামারির কারনে অলিম্পিক পিছিয়ে গিয়েছে একবছর।
সেই কারনে লিয়েন্ডারের খেলোয়ার জীবনের ভবিষৎ নিয়ে আগ্রহ ছিল টেনিস দুনিয়ায়। লিয়েন্ডার তাই ঘোষনা করেছেন, অষ্টমবারের অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। স্বভাবতই টেনিস দুনিয়া ধরে নিয়েছে, করোনার কারনে নিজের অবসরের সময় সীমা পিছিয়ে দিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টেনিসে নিজের নাম লিয়েণ্ডার প্রথম তোলেন সেই ১৯৯০ সালে। ১৭ বছরের তরুন লিয়েন্ডার সেবার উইম্বলডনের ছেলেদের জুনিয়ার বিভাগে চ্যাম্পিয়ান হন। অচিরেই চলে আসেন জুনিয়ার বিভাগের বিশ্ব র্জাঙ্কিং এ সেরা জায়গায়।
এরপরে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। এক বছরের মধ্যেই চলে আসেন জুনিয়ার বিভাগের পেশাদার সার্কিটে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত যেকোন বড় টুর্নামেন্টে ভারতকে ভরসা জুগিয়েছেন লিয়েন্ডার। কেরিয়ারের শুরুর দিকে কবজির চোটকে অগ্রাহ্য করে ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পান তিনি। এইরকম সময়েই তাঁর কাছে পরাজিত হন পিট সাম্প্রাস।
আরও পড়ুনঃ করোনার কারনে পিছিয়ে গেল, বিশ্বের সাড়ে তিন হাজার বছরের খেলা
পরে অবশ্য সিঙ্গলস থেকে মন সরিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে ডাবলস বিশেষজ্ঞ হিসাবে গড়ে তোলেন। ইতিমধ্যে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে টেনিস সার্কিটে এসে যান মহেশ ভূপতি। ১৯৯৮ সালে ‘লি-হেস’ জুটি সকলকে চমকে দিয়ে পৌঁছে যান অষ্ট্রেলিয় ওপেন, ফরাসি ওপেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের সেমি ফাইনালে।
তারপরের গল্প তো রূপকথার মতো। ভারতীয় টেনিসে রেকর্ড আর লিয়েন্ডার হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় সমার্থক। গোটা কেরিয়ারে লি ডাবলসে জুটি বেঁধেছন ১৩০ জনের সঙ্গে, আর মিক্সড ডাবলসের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা হল ২৫।
টেনিস এমন একটা খেলা, যেখানে সব সময় থাকতে হয় শারিরীক সক্ষমতার চরমে। সেই খেলায় কীভাবে ৪৬ বছরেও তরুনের মতো তিনি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা সত্যি এক বিস্ময়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584