নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
সম্প্রতি ৬০০ পর্ব পার করেছে ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’। শুধু বাংলা নয়, আরও ছয়টি ভাষায় চলছে এই ধারাবাহিক। অনিন্দ্য সেনগুপ্তর প্রাক্তন স্ত্রী শ্রীময়ী যেন দর্শকের নিজের ঘরের মেয়ে। শ্রীময়ীর দুঃখে, লড়াইতে কাঁদে না এমন নারীচরিত্র বাস্তবে কমই আছে৷ হয়ত বা নেইও। ধারাবাহিকের নায়িকা শ্রীময়ীই। সে বারবার ভাবে নিজের মতো করে এবার বাঁঁচবে৷ কিন্তু বারবারই কে একটা যেন তাকে আটকে দেয়। সেনগুপ্ত বাড়ির কোনও না কোনও বিপদ তাকে নিজের মতো করে বাঁচতে দেয় না। আর তা দেখে কষ্ট পায় দর্শক।
নিজেদের খারাপ লাগা, ভাল লাগার কথা তারা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের দাবি শ্রীময়ীকে নিজের মতো থাকতে দেওয়া হোক। আরও দাবি, রোহিত সেনের সঙ্গে ঘর বাঁধুক শ্রীময়ী। সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকের এহেন দাবিতে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতামত- “শ্রীময়ী নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। সব মানুষই চায়। পারে কি? বিশেষ করে মহিলারা পারে কি নিজের মতো করে বাঁচতে?
তবে হ্যাঁ, শ্রীময়ীর একজন রোহিত দা আছে যে কিনা তাকে ভালোবেসে আগলায়। নিজের মতো করে শ্রীময়ীকে বাঁচতে অনুপ্রেরণা দেয়। শ্রীময়ীকে সে কাছে পেতে চেয়েছিল, আজও চায়। শ্রীময়ীও ভালোবাসে রোহিত দা’কে। ভালোবাসা আছে বলেই একজন মা’কে তার সন্তানদের ছেড়ে অন্য একজনের হাত ধরতে হবে? এমন একজন মাকে আমি নিজেই সমর্থন করি না। তাকে গল্পে দেখাই কী করে? তবে, দেখাবই না কখনও, তেমন আশ্বাস দিতে পারছি না।
আরও পড়ুনঃ করোনাকে ভয় পান না কঙ্গনা
সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তাদের কথাকে আমি সবসময় খুব বেশি গুরুত্ব দিই না। আমি তো কারো পছন্দ অনুযায়ী গল্প লিখতে বসিনি। আমি আমার ভাবনাকে তুলে ধরতে চাইছি মাত্র। তাছাড়া যে দর্শকদের কথা বলা হচ্ছে তারা নিশ্চিত ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শক। এই দর্শকদের নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত না। তাদের শ্রীময়ী নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। সব মানুষই চায়। পারে কি? বিশেষ করে মহিলারা পারে কি নিজের মতো করে বাঁচতে?
এদের মতামতের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই যথেষ্ট যুক্তির অভাব থাকে।
আরও পড়ুনঃ জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়
শ্রীময়ী আর দিঠির মধ্যে যে দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে বাস্তব জীবনে হলে যে কোনও মা মেয়ের মধ্যেই তৈরি হতো। কোনও মা কি চান তার মেয়ে একজন অন্ধকার জগতের মানুষের সঙ্গে সংসার করুক? এটা নিয়ে এত বাগবিতণ্ডা করা অনর্থক।
আর যাঁরা বলছেন শ্রীময়ী নিজের ইচ্ছে মতো নিজের শর্তে বাঁচতে পারে না কেন? তাঁদের বলি, আসলে আমাদের বাঙালি সমাজে মেয়েদের সেই সুযোগটা আমরা বাস্তবেও দিই না। যাঁরা এই দাবি করছেন তাঁরা কি নিজের মা কাকিমাদের এমন করে দেখতে পারবেন? কাজেই তাঁদের কথাতে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584