উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রবিবারের পর সোমবার ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘বামপন্থীরা নেমন্তন্ন করেছিল তাই গিয়েছিলাম। আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’

রবিবার ব্রিগেডে ‘সংযুক্ত মোর্চা’র সমাবেশে তাল কাটল জোটের। আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে ওঠার সঙ্গে তাঁর সমর্থকরা ‘ভাইজান’ স্লোগান দিতে থাকেন। অধীর চৌধুরী মাঝপথে ভাষণ থামিয়ে দিতে উদ্যত হন। তাঁকে বিরত করেন বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিম। তারপর মঞ্চে অধীরের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসকে খোঁচা দেন সিদ্দিকী।
আব্বাস তাঁর বক্তব্যে জানান, ‘অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাম শরিক দলের কথা বললেন। আপনি কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? স্পষ্ট জানিয়ে দিই, ভাগীদারি করতে এসেছি, তোষণ করতে আসিনি। ভাগীদারি চাই। আদিবাসী, ওবিসি ও মুসলিমদের হক বুঝে নিতে হবে। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে দরজা খোলা আছে।’
আরও পড়ুনঃ ‘পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানাতে চাইছে জোট’, বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপের
এরপর ছত্তীশগড়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ সিং বাঘেলের ভাষণ সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘আমি কেন ক্ষুব্ধ হব? তাঁর সঙ্গে আমার কোনো ওঠাবসাও নেই। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনাও হয়নি। কংগ্রেস শতাব্দী প্রাচীন দল। তার নির্দিষ্ট রীতিনীতি আছে।’
আরও পড়ুনঃ বাংলায় আসা কোনও তীর্থক্ষেত্রের থেকে কম নয়- বাঘেল
এতদিন আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের আলোচনা চলছিল বলে খবর। বামেরা ত্রিশটি আসন ছেড়েছে আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দলকে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা এখন ঝুলে। কারণ, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে একটি আসনও ছাড়তে চাইছে না কংগ্রেস। কিন্তু, অধীর চৌধুরী যেভাবে বলছেন, আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়নি, তা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
সোমবার আলিমুদ্দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসছে বামফ্রন্ট। আইএসএফ-কে জোটে রাখতে সম্ভবত প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে জট কাটাতে চাইছেন সিপিএম নেতারা। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এখনও যদি জোট পোক্ত না হয় তবে প্রচারই বা কবে থেকে শুরু হবে, প্রার্থীও বা কীভাবে বাছা হবে? সেনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584