উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
নন্দীগ্রামের পর ভাঙর আসনটিও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) কে ছাড়তে চলেছে বামেরা। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভাষা দিবসের এক অনুষ্ঠানে ভোজেরহাট থেকেই ভাঙড় বিধানসভা আসনটির জন্য দাবি জানিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী।
জনসভা থেকেই তিনি জানান, ভাঙড়ের আসনটি তাঁর প্রয়োজন। তারপরেই বামফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয় ফের আলোচনা। একাধিকবার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, দীর্ঘদিনের সিপিআইএমের এই আসনটি দেওয়া হবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে।
আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে মরিয়া বামফ্রন্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙরে আব্বাস সিদ্দিকী আশানুরূপ ফল করবে বলে মনে করছে রাজ্য বামফ্রন্ট। বর্তমানে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর মতানৈক্য থাকলেও বামফ্রন্ট কিন্তু জোটের স্বার্থে নজিরবিহীন নমনীয়তা দেখিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নাড্ডার আলোচনাচক্রে মিঠুনের উপস্থিতির সম্ভাবনা, তুঙ্গে জল্পনা
আব্বাস সিদ্দিকীর দাবি মেনে একের পর এক আসন ছেড়ে দিচ্ছে বামফ্রন্ট। এরপরও যদি জোট নিয়ে কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার সব দায় কংগ্রেসের বলে মনে করছে বামেদের জোট শরিকরা। নন্দীগ্রাম, জামুরিয়ার পর ভাঙর বিধানসভা কেন্দ্রটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে।
আরও পড়ুনঃ মেটিয়াবুরুজে মিমের মঞ্চ বাঁধতে দিচ্ছে না তৃণমূল, আদালতে অভিযোগ
সূত্রের খবর, ভাঙড়ের আসনে আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই তথা আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীকে প্রার্থী করতে চলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। দীর্ঘদিন এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআইএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছিলেন রেজ্জাক মোল্লা।
যদিও তারপর তিনি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপর ভাঙর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম-এর প্রার্থী হন রাশিদ গাজী। তিনি রেজ্জাক মোল্লার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই ও জয়ের জন্য আব্বাস সিদ্দিকীর ওপর নির্ভর করছে রাজ্য বামফ্রন্ট। যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে সংকট রয়েই গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেসের একাংশও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584