পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
বহু মানুষের একটি করে কিডনি গায়েব উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।রায়গঞ্জের ভিন্ন ভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা একটি কিডনির ভরসাতেই বেঁচে রয়েছে।জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল,জালিপাড়ার পর এবার কিডনি পাচারকারীদের থাবা রাড়িয়া গ্রামে।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুঁশ ফিরেছে প্রশাসনের।
জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রামে বহু মানুষের কিডনি কেটে নেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল সমগ্র রাজ্য জড়ে।ঠিক একই ভাবে
সম্প্রতি
রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোলের পর কিডনি পাচারে নতুন নাম উঠে আসছে রায়গঞ্জ ব্লকের রারিয়া গ্রাম।এই গ্রামের আর্থিক অনটন ঘোঁচাতে কিডনি বিক্রি করছে।গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি সকলের অগচরেই চলছে এই কারবার।পরিবারের অন্য সদস্যরা এই কাজে স্বামীদের মদত দিচ্ছেন।
কিডনি পাচারে একসময়ে সংবাদ শিরনামে ছিল রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম।কিডনি পাচারের মূল পান্ডা রেজ্জাক এখন এই পেশা অনেকটা দূরে সরে আছেন।সম্প্রতি নজরে আসে রায়গঞ্জ ব্লকের রারিয়া গ্রাম।এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের ব্যক্তিরা আর্থিক অনটন ঘোঁচাতে স্বেচ্ছায় কিডনি বিক্রি করছে।কলকাতার কোন এক কিডনি পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি বিক্রি করে করছে।হাতে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আসায় মেয়ের বিয়ে,নির্মিয়মান অসামপ্ত বাড়ি তৈরী করছেন।এছাড়াও সেই টাকা দিয়ে একটি টোটো কিনে উপার্জন করছেন।রারিয়া গ্রামের মানিক বর্মন,মংলু রায়,রতিকান্ত বর্মন এবং ভূপেন রায় কিডনি দিয়েছে বলে জানা গেছে।এই ঘটনা নজরে আসার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আইনের বেড়াজালের ভয়ে তারা কেউ ক্যামেরার সামনে আসতে চাইছেন না।
কিডিন বিক্রি করে জীবন যাপন। কি বলছেন বিক্রেতারা, কি বলছে প্রশাসন। দেখুনঃ
#NewsFrontPosted by News Front on Friday, January 18, 2019
আজ আচমকায় ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হলেন মানিক বর্মন।তার ভাইপোর মাধ্যমেই সে কিডনি বিক্রি করে।হাতে পেয়েছেন দুই লক্ষ টাকা।সেই টাকা দিয়ে মেয়ে পড়াশুনার খরচ চালানো এবং টোটো কিনে অর্থ উপার্জন করছেন।রারিয়াতে পাওয়া গেল মংলু রায়কে।তিনিও কিডনি বিক্রি করছেন।হাতে পেয়েছেন তিন লক্ষ টাকা।সেই টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে, অসামাপ্ত বাড়ি সম্পূর্ন করা এবং একটি টোটো কিনে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাছেন মংলু রায়।তার স্ত্রী সুমিত্রা রায় জানিয়েছেন স্বামীর কাজে তিনি সহমত।এই টাকা না পেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হত না।পরিস্থিতি তৈরী হলে তিনি কিডনি বিক্রি করতে রাজী আছেন বলে ক্যামেরার সামনে ঘোষনা করলেন সুমিত্রাদেবী।বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যা সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন,ঘটনাটি লোক মারফত জেনেছেন।তবে তার কাছে অভিযোগ করে নি কেউ।গ্রামপঞ্চায়েতে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন।এখন অনেক কাজ বুঝে নিতেই পারেন নি।রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন,বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন।কিডনি বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, শুরুই হয়নি প্রস্তাবিত নবদ্বীপ হেরিটেজ শহরের কাজ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584