বেহালায় করোনাজয়ী নার্সকে হেনস্থা, পাড়াছাড়া করার হুমকি প্রতিবেশীদের

0
31

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

করোনা ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল জনজীবন। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই আবার চারিদিকে রটছে গুজব। শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস নয়, প্রতিবেশীদের হেনস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এরকমই এক ঘটনা ঘটলো বেহালায়।

Covid warriors | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

কলকাতা লাগোয়া বেহালায় করোনাজয়ী নার্সকে একঘরে করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা। না মানায় স্বামী-সন্তান-সহ একঘরে করে রাখা হয়েছে ওই করোনাযোদ্ধাকে। নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁদের। সোমবার এই নিয়ে বেহালা থানার দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ পরিবারটিকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আক্রান্ত দেবের বাড়ির ম্যানেজার, সপরিবারে কোয়ারেন্টাইনে সাংসদ-অভিনেতা

জানা গিয়েছে, গত ১০ অগাস্ট কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের ওই নার্সের। তারপর থেকে বেহালার রায় বাহাদুর রোডের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাঁর স্বামী ও ছেলে। যদিও তাঁদের কারও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। গত ২০ অগাস্ট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন নার্স। এরপর থেকেই লাগাতার প্রতিবেশীদের হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে।

আরও পড়ুনঃ ধন্য দেশপ্রেম! সৌজন্যে পৌরমাতা

অভিযোগ, প্রতিবেশীরা জানায়, হয় চাকরি ছাড়তে হবে, নইলে পাড়া। কারণ তাঁদের ধারনা নার্সের মাধ্যমে পাড়ায় ছড়িয়ে পরতে পারে করোনা ভাইরাস। এমনকী ওই পরিবার পাড়ার দোকান থেকে যাতে জিনিসপত্র কিনতে না পারে সেজন্য নজরদারি শুরু হয়। সাফাইকর্মীকে বাড়িটি থেকে আবর্জনা সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

বিষয়টি স্থানীয় বেহালা থানায় জানান নার্স। এরপর পুলিশকর্মীরা এসে এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালান। অভিযোগ, তাতেও কাজ হয়নি। হুমকি চলছেই। বাধ্য হয়ে সোমবার আবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নার্সের ছেলে। পুলিশের তরফে পরিবারটিকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বেহালা থানার তরফে জানানো হয়েছে এরপর যদি কেউ তাদের কোনোকিছুতে বাধা দেয় তবে তার বিরুদ্ধে মহামারি আইনে মামলা রুজু হতে পারে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here