নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
করোনায় মৃত্যু সন্দেহে পুলিশ কর্মীর বাবার দেহ সৎকারে বাধা দিল স্থানীয় জনগন । ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ এক শ্মশান থেকে আর এক শ্মশানে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারপরেও ফিরে যেতে হয় মৃতের পরিবারকে। কারণ প্রত্যেক শ্মশানেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ।
স্থানীয়দের দাবি, ওই দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা যাবে না। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটার বুড়িরহাট এবং সাহেবগঞ্জ এলাকায়। শেষে প্রশাসনের সহায়তায় রাত প্রায় ১ টা নাগাদ পুলিশকর্মীর বাবার দেহ দাহ করা হয়। মৃতের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি পজ়িটিভ ছিলেন।জানা গেছে, ওই পুলিশকর্মী শিলিগুড়িতে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে বুড়িরহাটের বাড়ি ফেরেন। সেই সময় তাঁর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। কোচবিহারের করোনা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে করোনাজয় করে বাড়ি ফিরল ১০ জন
পরবর্তীতে ওই পুলিশকর্মীর বাবা অসুস্থ হয়ে কোচবিহার মেডিকেলে ভর্তি হন। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এলাকায় আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত জনতা দিনভর একাধিক শ্মশানে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে দিনহাটার এসডিও ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা শবদেহ দাহ করতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুনঃ ডোমকলের কুশাবাড়িয়ায় বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা
ফলে একাধিক শ্মশান ঘুরেও মৃত ব্যক্তির সৎকার করা সম্ভব হয়নি। শেষে প্রশাসনিক সহায়তায় একটি শ্মশানে রাত প্রায় ১ টা নাগাদ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করা হয়।এই বিষয়ে দিনহাটা ২ নং ব্লকের যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, “মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে একাধিক জায়গায় বাধা আসে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584