নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ
দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা পাঠাগার খোলার দাবি জোরালো হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের ক্ষীরেরকোট এলাকায়। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৯৭৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত বিবেকানন্দ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঠাগারটি চালু থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ধরণের গল্প, উপন্যাস, কাব্য থেকে শুরু করে বিনোদন মূলক ও শিক্ষা মূলক বই এলাকার পাঠকদের পড়ার সুযোগ হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রায় তিন বছর ধরে পাঠাগারটি বন্ধ রয়েছে।
ফলে এই পাঠাগারের দ্বারা যেসমস্ত পাঠক উপকৃত হচ্ছিলেন তারা এক প্রকার হতাশ। স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিনাথ বর্মণ জানান, “দীর্ঘ দিন ধরে পাঠাগারটি বন্ধ থাকায় এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষিত সমাজ পাঠাগারের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাঠাগারটি পুনরায় চালু করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।”
এই পাঠাগারটি চালু থাকাকালীন জটেশ্বর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষীরেরকোট, কাঠালবাড়ি, ডালিমপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার পাঠকেরা প্রতিনিয়ত আসতেন বলে জানা গেছে । দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার ফলে পোকা-মাকড়ের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিণত হচ্ছে পরিত্যক্ত আবাসনে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় এলাকার বহু পাঠক গ্রন্থাগারটিতে প্রতিনিয়তই আসতেন। কিন্তু গ্রন্থাগারিক অবসর নেওয়ার পরে আর কোনও গ্রন্থাগারিক সেখানে আসেননি। ফলে গ্রন্থাগারটি আর খোলাও হয়নি।
আরও পড়ুনঃ জেলা প্রশাসনকে ‘কর্নগড় গড়’ এর ইতিহাস রক্ষার আবেদন অখিল ভারত ক্ষত্রিয় সমাজের
যার জেরে লোকজনের যাতায়াত ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সম্প্রতি বন্ধ থাকা গ্রন্থাগারটিতে বিষাক্ত পোকামাকরও ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় পাঠকরা।স্থানীয় পাঠকদের অভিযোগ, রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে বহু পুরনো আমলের গুরুত্বপূর্ণ বই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584