মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হলেও কুড়ি বছর কেটে গেলেও কোন চাকরি না পাওয়ার জন্য কলেজের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাল জমিদাতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার শীতলকুচি কলেজের মূল গেটে তালা মেরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কলেজ চত্বরে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের বাইরে আঁটকে পরেন অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ প্রায় ২ ঘন্টা বাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ তুলে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার কুড়ি বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।
তাই সোমবার কলেজের মূল গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা। জনৈক সুমন্ত বর্মন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলেজের জন্য জমি নেওয়া হয়। আমরা বারবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালেও কোন লাভ হয়নি। তাই আমরা আন্দোলনে শামিল হয়েছি। কলেজে আমাদের চাকরি দেওয়া হোক নয়তো আমাদের জমি ফিরিয়ে দিক কলেজ কর্তৃপক্ষ।’
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডাকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ভগবানগোলায়
তবে এবিষয়ে শীতলকুচি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি আবেদ আলী মিঞা বলেন, ‘বাম সরকারের আমলে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় তারা কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।’
এবিষয়ে শীতলকুচির প্রাক্তন বাম বিধায়ক হরিশচন্দ্র বর্মন বলেন, ‘কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় জমির তৎকালীন মূল্য দিয়েই জমি কেনা হয়েছে। ওই সময় জমির মালিকরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির দাবি জানিয়েছে। আমরা প্রশাসনে থাকলে তাঁদের দাবি পূরণ হত।’
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনায় রায়ত জায়গা দখল করে বিজেপি পার্টি অফিস তৈরির চেষ্টা, এলাকায় উত্তেজনা
শীতলকুচি কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ আফজল হোসেন বলেন, ‘প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানা নেই। আমাদের কাছে কোন লিখিত নথিপত্রও নেই এই বিষয়ে। কয়েকজন কলেজের গেটে তালা মেরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিল তা পুলিশে জানানো হয়।’শীতলকুচি থানার পুলিশ জানায়, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং বিক্ষোভ কারীদের সাথে কথাবার্তা বলে বিক্ষোভ তুলে দেওয়া হয়।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584