শ্যামল রায়, কালনাঃ
আর কিছুদিন পরেই দূর্গা পুজোর কেনা বেচা শুরু হয়ে যাবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। মার্চ, এপ্রিল মাস থেকেই তাঁত শিল্পীরা জামদানি শাড়ি থেকে শুরু করে বালুচুরি সমস্ত ধরনের নামিদামি শাড়ি বুনতে শুরু করেন এবং ভিন রাজ্য থেকে আসা পাইকারি শাড়ি বিক্রেতারা শাড়ি কিনে নিয়ে বিক্রি করতে শুরু করে দেয়।

বর্তমানে করোনাভাইরাস -এর জেরে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। সেইসাথে সারাবাংলায় লকডাউন চলছে। তাই এই লকডাউন -এর মুখে তাঁত শিল্পীরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।অথচ রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই ধাত্রীগ্রাম এবং শ্রীরামপুর তৈরি করেছেন দুটি তাঁত হাট। এই দুটি তাঁতের হাটে তাঁতিদের সমস্ত রকম সরঞ্জাম পাওয়া যায় এবং তাদের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি করতে পারেন। রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। কিন্তু লকডাউন এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে শিল্পীরা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ মানা হচ্ছেনা লক ডাউন, অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি সাংসদের
এমনকি বাড়িতে ঘরের মধ্যে বসে কাপড় বুনন করলেও কম দামে শাড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে শুধুমাত্র পেটের তাগিদে। নইলে বাড়ির বউ মেয়েরা এই শাড়ি বানিয়ে থাকেন পুজোর সময় বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন বলে। এবছর শাড়ি জমা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না তাই তাদের পেটে টান পড়েছে।
দুটি তাঁত হাট বন্ধ তাই এখন মহাজনের খপ্পরে পড়ে টাকা ধার নিয়ে কোন রকম ভাবে দামি শাড়ি বুনন করতে হচ্ছে যদিও এখানকার তাঁত শিল্পীরা চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কালনা মহকুমার বাঘনাপাড়া, সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, শ্রীরামপুর, প্রভৃতি অঞ্চলে কমপক্ষে কুড়ি হাজার তাঁত শিল্পী বসবাস করেন।
লকডাউন এর সময়ে শিল্পীদের স্বার্থে সমস্তকিছুই বন্ধ হবার মুখে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাঁত শিল্পীদের জন্য নতুন কোনো সাহায্যের কথা ঘোষণা হয়নি। তবুও রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে অবশ্যই কিছু না কিছু ভাবনা চিন্তা করে ঘোষণা করবেন অপেক্ষায় দিন গুনছেন কালনার কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার তাঁত শিল্পী।
তবে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন যে বিষয়টি খুব কষ্টের তবুও করোনাভাইরাস আমাদের আতঙ্কের, এর মধ্যে থেকেই শিল্পীদের জন্য কিছু একটা করা যায় কিনা আমি সরকারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ অবশ্যই গ্রহণ করব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584