সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে। একটির পর একটি বিষয়ে যেমন ভাবে উঠে আসছে তাতে বলাই যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কয়েকদিন আগেই স্বর্ণপদক পাওয়ায় সর্বজিত ঘোষ নামে এক ছাত্রকে নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। নিউজ ফ্রন্ট সেই ঘটনা তুলে ধরেছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দেখা দিল নতুন বিতর্ক।
সুপ্রিয় ঘোষ এবং উৎপল পাঁজা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৮ বর্ষে রেগুলার এম ফিলের ছাত্র হিসাবে নথিভুক্ত ছিলেন।অথচ তাঁরা ওই সময়ে কলেজে গেষ্ট লেকচারার হিসাবে কাজ করেছেন নিয়মিতভাবে। উৎপল পাঁজা বোলপুরের পিডিসি গার্লস কলেজে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ও সুপ্রিয় ঘোষ বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর কলেজে প্রায় তিন বছর গেস্ট লেকচারার হিসাবে কাজ করেছেন।
কিন্তু এরকম তো নিয়মবিরুদ্ধ।উৎপলবাবু এক্ষেত্রে বলছেন, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি থাকে তাই শনিবার তিনি কলেজে পড়াতে যেতেন। তাছাড়া এই কোর্স সম্পূর্ণ করার জন্য টাকার দরকার সেই তাগিদেই তিনি এই পথে পা বাড়িয়েছিলেন। তিনি যখন এমফিল শুরু করেন তখন এই কাজটি পাননি।
উৎপলবাবু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন,আংশিক সময়ের এই অধ্যাপনা নো ওয়ার্ক নো পে হিসেবে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ফ্যাকালটি কাউন্সিল অফ সায়েন্সের পিজি স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার বলেন, নিয়মানুযায়ী এম ফিলের ছাত্রকে ১০ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হয়। তাঁদের জানাতেও হয় তাঁরা অন্য কাজের সাথে যুক্ত নেই।
ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত তালিকায় থাকা ছাত্র একইসাথে শিক্ষক
উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান।তাতে হাজির থাকবেন রাজ্যপাল। তাঁর হাত দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিগ্রী প্রাপকদের সম্মান জ্ঞাপন করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584