নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাতিল এম ফিল

0
246

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

৩৪ বছর পর জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল এল। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা হল এই নয়া নীতিতে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের তরফে এই পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। নয়া নীতিতে শিক্ষার অধিকারের আওতায় আনা হয়েছে ৩ থেকে ১৮ বছরের পড়ুয়াদের। পাশাপাশি বদল ঘটানো হল পরীক্ষা ব্যবস্থায়। এমনকী আমূল বদলে গিয়েছে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও। এখানেই শেষ নয়।

Exam | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এদিন নতুন শিক্ষানীতিতে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ নাম বদলে হয়ে গেল শিক্ষা মন্ত্রক। এদিন ঘোষণা করা হয় এবার থেকে দেশের উচ্চ শিক্ষার একটিই মাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকবে এবং এম ফিল বন্ধ হতে চলেছে। ডিজিটাল লার্নিংয়ে গতি আনার জন্য ন্যাশনাল এডুকেশনাল টেকনোলজি ফোরাম গঠিত হবে।

উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের সচিব অমিত খারে বলেন, ৩৪ বছর বাদে নতুন শিক্ষানীতি চালু হচ্ছে দেশে। এর আগে ১৯৮৬ সালে শিক্ষানীতি চালু হয়েছিল। ১৯৯২ সালে তা সংশোধিত হয়। নতুন শিক্ষানীতিতে প্রাথমিকভাবে আটটি ভাষায় পাঠক্রম চালু হবে। এবং ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি গড়ার দিকেও এগোনো হবে। ১০০ টি শীর্ষ ভিন দেশী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার জন্য অনুমতি দেওয়া হল। এই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে।

আরও পড়ুনঃ আনলক ৩: উঠল নাইট কারফিউ, বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিনেমা হল

অমিত খারে আরও বলেন, “দেশে ৪৫,০০০ এর বেশি অনুমোদিত কলেজ রয়েছে। তাদের অনুমোদনের মান অনুযায়ী আন্ডারগ্রেডের অটোনমি, শিক্ষা সংক্রান্ত, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক স্বশাসনের অধিকার দেওয়া হবে।”

নতুন শিক্ষানীতিতে বন্ধ করা হচ্ছে এম ফিল। স্নাতক, স্নাতকত্তরের পর থাকবে পিএইচডি। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে স্কুল স্তরের যাবতীয় পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন (এমএইচআরডি) মন্ত্রক। নতুন পদ্ধতিতে ‘৫-৩-৩-৪’ কাঠামোয় শ্রেণি ভিত্তিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হবে। বোর্ডগুলির এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশ পাওয়ার পরই ১০+২ কাঠামো বাতিল করা হবে এবং ২০২১ সাল থেকে নয়া মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কোডিং শিখতে পারবে পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুনঃ ৭ আগস্ট অনলাইনে হবে সিইটি, জেইম্যাট পরীক্ষা

নয়া শিক্ষানীতিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার মাঝে লম্বা ছুটি নিতে পারবে। এই ধরনের ছুটিকে বলা হয় ‘স্যাবাটিকাল’। কতদিনের জন্য ছুটি দেওয়া হবে তা স্থির করবে উচ্চশিক্ষা কমিশন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো মেজর ও মাইনর সাবজেক্ট বাছতে পারবে। কলেজগুলিকে দেওয়া হবে স্বশাসন। নতুন শিক্ষা নীতিতে থাকছে ২২ টি ভাষা, পাশাপাশি থাকছে অডিও বই। ভারতে মোট তালিকাভুক্ত পড়ুয়ার অনুপাত ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ করতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মাবলি মেনেই তৈরি করতে হবে বেতনের পরিকাঠামো। আঞ্চলিক ভাষায় ই-কোর্সের ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষাদান, মূল্যায়ন, এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে প্রযুক্তির ব্যবহার। ই-কোর্সের সিলেবাস অনুযায়ী পঠনপাঠনের ব্যবস্থা আঞ্চলিক ভাষায় উপলভ্য থাকবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here