মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস কান্ডে ধৃত দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র

0
151

শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ

madhyamik question leaked
নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস কান্ডে সিআইডির হাতে ধৃত মেমারি মামুন ন্যাশনাল স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সাহাবাজ আলি মণ্ডল।শাহবাজ আলী গ্রেফতারের ঘটনায় কাটোয়ার কৈথন গ্রামের নীলেরপাড় পাড়ার আত্মীয়,প্রতিবেশীরা সকলেই হতবাক।জানা গিয়েছে যে ২০১৪ সালে মেমারি মামুন ন্যাশনাল স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভরতি হয় সাহাবাজ আলি মণ্ডল।কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর।

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।মেধাবীছাত্র সাহাবাজের মামা জালাল আহমেদ সেখের দাবি ‘মিশনে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ তাহলে কি করে ও মোবাইলে প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকে?
এসব চক্রান্ত।’ সাহাবাজের বন্ধুদের দাবি সাহাবাজ যখন হোস্টেল থেকে বাড়ি আসত তখন মোবাইল ব্যবহার করত।বাড়ি প্রধান গেটে তালা ঝুলছে।মামা জালাল আহমেদ সেখ আমাদের কাছেই ভাগ্নের গ্রেপ্তারির খবর শুনে কিছুটা ভেঙে পড়েন।

সিআইডি রাতেই মেমারির স্কুলের হোস্টেল থেকেই মা সামিমা বেগম ও সেনা কর্মী বাবা জাহির আলি সেখকে ফোন করে সাহাবাজ আলির গ্রেপ্তারের খবর জানায়। সাহবাজের সঙ্গে দেখা করার জন্য সামিমা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।সিআইডি সূত্রে জানা যায়,পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে প্রশ্ন পাঠানো হত।

গ্রুপের সদস্যদের মধ্যেই উত্তর তৈরি করে আবার পাঠিয়ে দেওয়া হত।সিআইডি এই গ্রুপের সদস্যদের সন্ধান করলে মেমারির মামুন ন্যাশনাল স্কুলের দুজন ছাত্রের নাম পায়। অভিযান চালালে বাকিদের নাম উঠে আসে।প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে রাজ্যে একটি বড় চক্র কাজ করছে বলে সি আই ডি জানতে পেরেছে।জোরকদমে শুরু হয়েছে তদন্ত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here