শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
আবারও বিতর্কে দেশের অন্যতম অনলাইন শপিং সাইট অ্যামাজন ইন্ডিয়া। যেখানে গোটা দেশকে নেশা মুক্ত করতে কত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং চালানো হচ্ছে বিভিন্ন রকম প্রচারাভিযান। পুলিশ প্রশাসন সর্বদা তৎপর হয়ে নেশাদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করছে। সেখানে খোদ অনলাইন ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের বিরুদ্ধে উঠল প্রচন্ড হানিকর নেশা দ্রব্যে গাঁজা বিক্রির অভিযোগ। এই সাইটে নাকি দেদার হারে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা।
যদিও ব্যাপারটি প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি শক্তির আড়ালেই ছিল এতদিন। তবে গত ১৪ নভেম্বর দুজন ব্যক্তিকে ২০ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর গাঁজার উৎস সন্ধানে নেমে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। কারণ তদন্ত করে জানা যায়, তারা এসমস্ত গাঁজা কিনেছে অ্যামাজনে অর্ডার দিয়ে। এই বাজেয়াপ্ত গাঁজা লোকাল মার্কেটে খুচরো বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বলে জানা যায়। সেন্ট্রাল মধ্যপ্রদেশ থেকে তাদের দুজনকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করা হয়।
Police in Madhya Pradesh's Bhind district has registered a case against executive directors of Amazon India after busting a racket which allegedly sold ganja (#cannabis) under the guise of selling a sweetener through the e-commerce platform.https://t.co/gCuJkXWW8C
— Business Standard (@bsindia) November 21, 2021
এ ঘটনার পর অ্যামাজনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অ্যামাজনের সাথে জড়িত কয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এক হাজার কেজি গাঁজা বিক্রি করা হয়েছে এই সাইট থেকে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৪৮ হাজার মার্কিন ডলার। পুলিশ জানিয়েছে, অ্যামাজনের বিরুদ্ধে নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইটোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনের আওতায় এনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, অ্যামাজনের কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাদের কথা বার্তায় বহু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আবহে ৪ কোটি প্রবীণ নাগরিক বঞ্চিত রেলের ছাড় থেকে, জানা গিয়েছে RTI-এর উত্তরে
অনেকের মনে প্রশ্ন, এমন একটি পপুলার অনলাইন শপিং সাইট কিভাবে এমন ঘৃণ্য কর্মের সাথে জড়িত? যদিও অ্যামাজনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কর্মকান্ডের সাথে তারা কোনভাবেই জড়িত নন। এছাড়াও জানান, তারা নিষিদ্ধ কোন পণদ্রব্যই তাদের সাইট থেকে বাজারজাত করেন না। তবে তারা আরও জানান, তাদের ওয়েব সাইটকে ব্যবহার করে যারা এমন ঘৃণ্য কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ আইন ফের প্রণয়নও করা যায়, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজের
শেষ পর্যন্ত ঘটনা যাই হোক, অ্যামাজনকে নিয়ে এই প্রথম বিতর্ক নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন অ্যামাজন ইন্ডিয়া। এর মধ্যে অন্যতম হল, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের ছবি দেওয়া এবং ওম চিহ্ন দেওয়া পাপোশ বিক্রি করার মত ঘটনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584