মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অচলাবস্থার মূলচক্রীরা তৃণমূলের প্রার্থীপদে

0
3045

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্বমেদিনীপুরঃগত পাঁচ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলি ধুুুঁকছে শিক্ষকের অভাবে। দূরদূরান্তে চাকরী করা শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাপিত্যেশ করেে বসে আছেন বদলির আশায়। বেকার ছেলেরা পাশ করে, ইন্টারভিউ দিয়ে পাচ্ছেনা চাকরী। কারণ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে চলা অচলাবস্থা। সুপ্রীমকোর্ট থেকে রাজপথ হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন শিক্ষক আর হবু শিক্ষকগণ । শঙ্খ ঘোষ সহ বুদ্ধিজীবীরা, বিধায়করা সমর্থন জানিয়েছেন । হতাশা পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভে। এই ক্ষোভে ঘৃতাহুতি হতে চলেছে -কারণ পরিষ্কার হচ্ছে এই অচলাবস্থার পেছনে রয়েছে পূর্ব-মেদিনীপুর জেলার শাসক দলের একাংশের। আগে গুঞ্জন শোনা গেলে পঞ্চায়েত নির্বাচণের টিকিট পেয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পরিষ্কার হয়ে গেল শাসক দলের সাথে গোপন আঁতাত।
আব্দুর রহমান, সম্পাদক, কনটাই রহমানিয়া হাইমাদ্রাসা, আহমেদ হোসেন শাহ, শিক্ষক, গিমাগেড়্যা ওয়েল ফেয়ার হাই মাদ্রাসা – মূলত এই দুজনকেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আচলাবস্থার মূলচক্রী বলে মনে করা হয়।

আহমদ শাহ ও  মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন(সমস্ত ছবি-সংগৃহীত)

আহমেদ হোসেন শাহর বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মাদ্রাসার মূল্যবান জমি সিন্ডিকেট করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে, জাল প্রতিষ্ঠাতা তালিকা বানিয়ে, মাত্র ৭ বছর বয়সে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হওয়া ছাড়াও রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এই দুইজনকেই শাসক দল এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছে ।
প্রথমজন টিকিট পেয়েছেন খাগড়াবনী ও দ্বিতীয়জন কৃষ্ণচক গ্রামের। আহমেদ হোসেন শাহ ও বর্তমানে কাঁথি-১ ব্লকের কৃষ্ণচক গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য, কিন্তু সি পি এম থেকে। ২০১১ সালে পরিবর্তনের আগে উনি প্রায় দশ বছর ধরে ওই ব্লকের ৪ নং রাইপুর পঞ্চায়েতের সি পি এম এর প্রধান ছিলেন। ২০১৩ পঞ্চায়েত ভোটেও উনি সি পি এম থেকে দাঁড়িয়ে জেতেন।

সাদা শার্ট পরিহিত আব্দুর রহমান

অপর কুশীলব আব্দুর রহমান, বর্তমানে কাঁথি-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, সি পি এম থেকে। কিন্তু এবার শাসকদলের টিকিট নিয়ে প্রার্থী হচ্ছেন খাগড়াবনী থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় সুযোগ্য সংখ্যালঘু নেতৃত্ব থাকলেও কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ করার নামে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে, সেই টাকার ভাগ দিয়ে টিকিট জিতে নিলেন গোটা বাংলাতে অচলাবস্থা কারি এই দুইজন।

হাইকোর্টে সরকারকে অপদস্থকারি এবং মামলা চালাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচকারি এই দুজন টিকিট পেতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন সারা বাংলার চাকরী প্রার্থীরা। এই বিষয়ে উনাদের দাবি- মাননীয়া দিদি ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে দিল্লিতে মনোনিবেশ করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন স্থানীয় নেতাদের। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পূর্ব -মেদিনীপুর জেলার শাসক দল সরকারকে হেনস্থা কারিদের প্রার্থী করেছে অন্যায় বিনিময়ের মাধ্যমে। এই ব্যাপারে সারা বাংলা যুব সমাজের পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here