সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
স্বাধীনতার পর অধিকাংশ গ্রাম ছিল অনুন্নত। বাম আমলে মাটির রাস্তা থেকে ইটের রাস্তার পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমূল পরিবর্তন, আজও দেখতে পাননি এলাকার বাসিন্দারা। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আজও সেই চিত্র ধরা পড়ে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের ইয়ারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির রাজবল্লভপুর,বলরামপুর এবং মহেশ্বরা এই তিন গ্রামের।

পাঁচটি বুথের ৭নং পঞ্চায়েত সমিতির কাজ না পেয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী শ্যামলী ছাটুই। সাধারণ মানুষের কাছে বারবার প্রত্তাশা দিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। মগরাহাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি এমনকি রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বারংবার বিমুখ হতে হয় শ্যামলী ছাটুইকে।

আরও পড়ুনঃ নবগ্রামে সমবায় ব্যাংকে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ মহিলাদের
একটাই অপরাধ বিজেপির হয়ে ভোটে লড়াই। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভায় তেত্রিশটা পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ৩২টা শাসকদলের একটি বিজেপি দখলে রাখে ২০১৮ সালের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

এলাকার মানুষদের প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসলে উন্নয়নমুখী করবে ৫টি বুথের একাধিক গ্রাম। রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল, গরীবের ঘর বাড়ি থেকে কর্মসংস্থান। সব করবে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামলী ছাটুই। কিন্তু কোথায় কি? দীর্ঘ বছর কেটে গেলেও আজও দেখা মিলছে না উন্নয়নের ছিটেফোঁটা।

আরও পড়ুনঃ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসনের
২০১৮র ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির দখলে থাকা ইয়ারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বেশ কিছু কাজ এগিয়ে যায়। সেটাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর কাছ থেকে যে কাজ পাওয়ার কথা সেটা কিন্তু আজও মেলেনি।

ফলে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে একে অপরের মধ্যে। সাধারণ মানুষের দাবি, উন্নয়ন হোক, সে যেয় আসুক না কেন ক্ষমতায়। তাহলে কি শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে, বিজেপি প্রার্থী হওয়ার কারণে বিরোধী দলনেত্রী হওয়াই আজকের কাজ পাচ্ছে না দাবি বিজেপির।

এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হবেন বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিন বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কাজ না পেয়ে তৃণমূলের দ্বারস্থ হন। সেই সময় প্রলোভন দেখিয়ে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের উস্থির তৃণমূল কার্যালয়ে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ “জনতা কার্ফু”কে কেন্দ্র করে ভিড় বাজারে, এক ধাক্কায় বাড়লো দামও
সেখানে বলা হয় তাকে কাজ পাইয়ে দেবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে চাউর হয়ে ওঠে একজন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া। যদিও কাজের দাবিতে তিনি এ কাজ করেছেন কোনভাবে দল ত্যাগ করেননি, তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেননি বলে দাবি নেত্রীর।
এই ঘটনার নিরিখে বিজেপি নেতৃত্ব এক নম্বর ব্লকের পাশাপাশি স্থানীয় যারা নেতৃত্ব রয়েছে তার বাড়িতে যান। বিষয়টি তদারকি শুরু করেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্বর কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃনমূল। একে অপরের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু করেছেন। যদিও প্রশাসনিক ভাবে ক্ষমতায় থেকেও কাজ না পাওয়া সেটা বড় প্রশ্ন চিহ্নর মুখে। প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584