ঝাড়গ্রামে তাকবীর হত্যায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

0
71

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

ঝাড়গ্রামে ক্রিকেট খেলার মাঠে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ প্রধান (নেড়া) এবং শুভঙ্কর সাউ (লিপি)কে গ্রেফতার করে এদিন ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন এবং অস্ত্র আইনে ৩০২, ৩৪, ২৫ ,২৭ ধারায় মামলা রুজু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।

arrested | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হলে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। জানাযায় , গুলি করে খুনের ঘটনায় মোট তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, যার মধ্যেই দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলেও অপর একজন অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ প্রধানের বাবা মনি প্রধান এখনও ফেরার।

গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ প্রধান (নেড়া) কে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া রাধানগর মোড়ে ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুর রাস্তায় অবরোধ শুরু করেছিল নিহত তাকবীর আলীর পরিজনেরা। অবরোধ তোলার জন্য ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর অবরোধস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করার কথা বলেন, তারপরেই অবরোধ তুলে নেন তাকবীর আলীর পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে খেলার মাঠে খুন হওয়া তাকবীর আলীকে নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা

জানা যায় , মূল অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ প্রধান কে ওড়িশা বর্ডার লাগোয়া হাতিবাড়ি এলাকায় নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয় এবং এই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত শুভঙ্কর সাউকে লোধাশুলির কাছে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ ঝাড়গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাছুর এলাকায় একটি ক্রিকেট খেলা দেখতে আসে দর্শক আসনে থাকা রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের যুবক তাকবীর আলী। অভিযোগ, তাকবীর কে দুটো হাতে দুটো বন্দুক নিয়ে হঠাৎ গুলি করে বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ প্রধান নামে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত এক এনভিএফ কর্মী।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের উপর হামলার প্রতিবাদে বহরমপুরে পথ অবরোধ দলীয় কর্মীদের

তাকবীর কে একটি পায়ে ও একটি মাথার কাছে গুলি করা হয় এবং লোহার রড দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্বজিৎ এর বিরুদ্ধে। তাকবীর কে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে কলকাতা স্থানন্তর করা হয়। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় তাকবীরের ।

মৃত্যুর খবর রটতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেই ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবা এলাকা। তাকবীরের পরিবার লোকজন বিশ্বজিৎয়ের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও দমকল বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।এদিন সকালে তাকবীরের পরিবারের সাথে দেখা করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here