নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মহন্ত সত্যনারায়ণের পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হল না, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। রবিবার সন্ধেয় কুকীর্তি ঘটানোর পর তখনই এলাকা ছেড়ে পালায়নি ওই পুরোহিত।
পরিকল্পনা করেছিল, দিন চারেক গা ঢাকা দিয়ে থেকে পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাবে। কিন্তু হলো না শেষরক্ষা। গ্রাম ছাড়ার পরিকল্পনা করে গোপন ডেরা থেকে বেরতেই তাঁকে ধরিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। নৃশংস ঘটনার চার দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হল মূল অভিযুক্ত।
Police delpoyed at the site of crime. Law&order situation in the village is normal. Victim's family has received all possible assistance from the govt. The main accused will be chargesheeted soon & the case will be tried in a fast-track court: DM Budaun on gangrape & murder case pic.twitter.com/CYnKeMBtmC
— ANI UP (@ANINewsUP) January 8, 2021
রবিবার বিকেল উত্তরপ্রদেশের বদায়ুনে ৫০ বছর বয়সি এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে মন্দিরের পুরোহিত এবং তার দুই সাগরেদের বিরুদ্ধে। মহিলাকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেওয়া হয় মহিলার পাঁজর।
রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বদায়ুন জেলার উঘইতি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সন্ধে গড়িয়ে রাত হলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে বাড়ির দরজায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তিন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ ‘কুমারীত্ব পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান আদালত
পরিবারকে জানায়, ওই মহিলা মন্দিরের পাশে শুকনো কুয়োয় পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তদের আচরণে এবং মহিলার অবস্থা দেখে সন্দেহ হয় নির্যাতিতার ছেলের। তাঁর অভিযোগ ছিল, মহন্ত সত্যনারায়ণ ও তার সাগরেদরা মায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ধর্ষণের সময় মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ভারী পাথরের আঘাতে বুক ও পাঁজরের হাড়ও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ বদায়ুনে প্রৌঢ়া ধর্ষণ খুনের ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য চন্দ্রমুখীর
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। মূল অভিযুক্ত ওই পুরোহিতকে ধরিয়ে দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু ধুরন্ধর সত্যনারায়নকে ধরা সহজ ছিল না। চারদিন ধরে ঘটনাস্থলের কাছেই লুকিয়ে থেকে পুলিশেরই গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রাম থেকে পালানোর পরিকল্পনা করে সে। কিন্তু তার আগেই গ্রামবাসীরা তাকে ধরিয়ে দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত মহন্ত সত্যনারায়ণের আসল বাড়ি বদায়ুনে নয়, বালিয়ায়। বছর সাতেক আগে বদায়ুনের ওই মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে যোগ দেয় সে। সেখানেই থাকত। সত্যনারায়নের অতীত কোনও অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584