শুভব্রত সরকার, কলকাতাঃ
সামনেই আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। মাথার উপর চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেই চোখ রাঙানিতে মাত্রা যোগ করছে প্লাবন। টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির জলের চাপে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ন অঞ্চল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী এবার প্লাবনের কারণ হিসাবে দায়ী করলেন ডিভিসিকে।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টির কারণে রাত ৩ টের সময় ডিভিসি কিছু না জানিয়ে আসানসোলে জল ছেড়ে দেয়। আসানসোল বৃষ্টিতে পূর্বের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ফলস্বরূপ বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ সহ আসানসোল ডুবে যায়। ডিভিসি পরবর্তীতে আবার এক লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দেয়।”
তিনি এদিন আরো জানান, বিহার ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই তার প্রভাব ভোগ করতে হয় পশ্চিমবঙ্গকে। তিনি বলেন, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে ট্রাঙ্ক ও ঢ্যাম গুলো পরিষ্কার করে না, হয় না ড্রেজিং। যার খেসারত দিতে হয় আমাদের। এই প্লাবনকে ম্যানমেড প্লাবন বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মানতে চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি পাল্টা বলেন, জল ছাড়ার আগে ডিভিসির পাঠানো কপি আমাদের কাছেও আছে। সেখানে জানানো হয়েছিল লোক সরানোর পদক্ষেপ নেবার কথা।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস সঙ্গ ত্যাগ, যাচ্ছেন না বিজেপিতেও, সাফ জানালেন পাঞ্জাবের অমরিন্দর
মুর্শিদাবাদের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ম্যানমেড তত্ত্বকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ম্যানমেড নাকি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা মেড তা আমরা জানতে পারছি না। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি কোনো বাঁধের জল আসার আগে রাজ্য সরকারে সাথে আলোচনা করে জল ছাড়তে হয়। যদি এটা ম্যান মেড হয় তো সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584