শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আক্রান্তদের সেরা চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোথাও সামান্য ভুলচুক হলেই উঠছে অসহযোগিতার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু হলে শেষকৃত্য করার ক্ষেত্রে নানাভাবে স্থানীয় বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সরকারকে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরক্ত সুরে এদিন তিনি বলেন, কোথাও মৃতদের সৎকারের জন্য চুল্লি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে কী করব? আমার ডেডবডির মধ্যে চুল্লি বানিয়ে পুড়িয়ে দিন। লাশ তো আর ফেলে রাখা যায় না।
করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে কিছু জায়গায় পরিষেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে বলেও এদিন স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেফ হোমে পরিষেবা দিতে দেরি হলেও অনেকে আন্দোলন শুরু করে দিচ্ছেন। কিন্তু কারণটা খুঁজে দেখার কারোর ইচ্ছা নেই। সরকার ভগবান বা ম্যাজিশিয়ান নয়। সব দোষ সরকারের অথচ এই সরকারই বেশি কাজ করছে। অথচ একটু কিছু হলেই কিছু রাজনৈতিক দল হৈহৈ রব তুলছে।’
আরও পড়ুনঃ গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ আচার্য, জবাবে চিঠি শিক্ষা দফতরের
মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, অন্যান্য রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর থেকে রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের অবস্থা অনেক ভাল। রাজ্যে গত ৯ বছরে হাসপাতালগুলির পরিষেবার চিত্র আমূল বদলে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকারি হাসপাতালের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে মানুষের। আশপাশের জেলার থেকে অনেক মানুষ কলকাতার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আশায় আসেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা রোগীর ওষুধ জোগাড়ের দায়িত্ব চাপানো যাবে না পরিবারের ঘাড়ে! নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
সংক্রমণের গুনতিতে কলকাতার হাসপাতালের ওই রোগীদের সংখ্যাও জানানো হয়, তাই কলকাতায় সংক্রমণ এত বেশি। আগামী কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা টেস্ট বাড়ানো হবে। তার ফলে সংক্রমনের সংখ্যা আরো বাড়বে। ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণ রুখতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর জন্য অযথা আতঙ্কিত হবেন না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584