শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একদিকে গুজরাট উন্নয়ন মডেলকে তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপি। আবার সেই গুজরাটে বছর কয়েক আগে হয়ে যাওয়া হিন্দু মুসলিম দাঙ্গাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগ এনে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় এসে বাংলার যতই নিন্দা করুন, বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না।
আরও পড়ুনঃ অটল জামানায় শুভেন্দু কেন বিজেপিতে যোগ দেয়নি- কাঁথিতে প্রশ্ন ফিরহাদের

যতই বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হোক, বাংলার আশেপাশে কেউ আসতে পারবে না। বাংলার বিভাজনের কোনও স্থান নেই। সকলের ধর্ম আলাদা হলেও মানুষ কিন্তু একই। গোটা মানবজাতি একটা পরিবার। একে ভাগ হতে দেব না।’
আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই মমতা এতদিন বাম-কংগ্রেস ভাঙছিলেনঃ অধীর


বুধবার আলিপুরের উত্তীর্ণতে বাংলা সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংগীত জগতের মানুষকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সঙ্গীত যেমন নানা রঙের সমাহার নানা যন্ত্রের ব্যবহার তেমনই জীবনের নানা রঙ। এটাই বৃহত্তর মানবজাতির পরিচয়। একে ভাগ হতে দেব না।”
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে পরোপকারী সাংসদ তালিকায় রাহুল-মহুয়া

মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গানেই সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন হয়। এদিন মঞ্চে পাহাড় থেকে জঙ্গলমহলের লোকপ্রসার শিল্পীদের সঙ্গীত সম্মানে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শিল্পী অসীমা মুখোপাধ্যায়কে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পুরস্কারে ভূষিত করে রাজ্য সরকার। এবং পল্লব ঘোষ, মণিকমল ছেত্রি, জয়তী চক্রবর্তী, মিনা মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা হেমব্রম, নুর আলম–সহ মোট ১৪ জন শিল্পীর তুলে দেওয়া হয় ‘সঙ্গীত সম্মান’ পুরস্কার।
আরও পড়ুনঃ আইন প্রত্যাহার না হলে বরিসকে আসতে মানা

আরও পড়ুনঃ মোদীকে ‘লিজয়ন অফ মেরিট’ সম্মান ট্রাম্পের
এমনকি সাঁওতাল শিল্পী বাসন্তি হেমব্রমকে সঙ্গীত সম্মানে ভূষিত করে তাঁর সঙ্গে মঞ্চে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিল্পীরা বহুদিন অনেক অনুষ্ঠান করতে পারেননি। তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ৬৩০টি মেলার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার।
সেখানে তাঁর অনুষ্ঠান করতে পারবেন।” শিল্পীদের শিল্পী দের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের পাশে থাকার জন্য পরোক্ষে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রায় ৫ হাজার শিল্পীর উপস্থিতিতে আগামী ৮ দিন ধরে চলবে এই সঙ্গীত মেলা। মোহরকুঞ্জের মুক্তমঞ্চ ছাড়াও শহরের একাধিক জায়গায় গানের এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584