নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিংঃ
শনিবার বাগডোগড়া বিমানবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,”গণতন্ত্রে হিংসার কোন স্থান নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে।
আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছে কারেঙ্গে ইয়া মারেঙ্গে। আমার মনে হয় যে মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বাস হিংসায়। আগামী নির্বাচনে এই কথা হবে। বাংলায় হিংসা চাই না, চাই না। আমি একদম পরিষ্কার রাজনীতি করবো। আর নিশ্চিত ভাবে আমাদের সরকার আসবে।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,”দেখুন গোটা দেশ জানে যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্ণয় নিয়েছে আর এইটা ছাত্রদের পক্ষে নির্ণয়। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ছাত্রদের হিত বুঝতে পারছে না।
দুর্ভাগ্য যে বাংলা শিক্ষার বিষয়ে দেশে আগে থাকতো। কিন্তু বাংলা শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। তার কারণ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের, শিক্ষার প্রগতির জন্য বিশ্বাস নেই। উনি শুধু রাজনীতি করতে জানেন এবং ৯০ শতাংশ ছাত্র এই পরীক্ষার জন্য আবেদন দিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ বাসুদেবপুরে
ছাত্ররা পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে এবং অনেক রাজ্য যেমন ওড়িশা, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই কিন্তু ওই জায়গার মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা,যাতায়াতের ব্যবস্থা সব করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলার পরীক্ষার আগে লকডাউন করা হচ্ছে। বাংলার ছাত্রদের ভবিষ্যতের কোন চিন্তা নেই মুখ্যমন্ত্রীর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শুধু বাংলার কথা বলছেন।
এখন দেশের সমন্বয়ের কথা বলাই ভাল মমতা ব্যানার্জির। কারণ দেশের জন্য যখন লোকসভা নির্বাচন লড়তে গিয়েছিল, তখন বাংলার মানুষ তাকে স্বীকার করেনি। এবং লোকসভায় আমাদের ১৮টি আসন এসেছে। আগে বাংলাকে সামলাক, বাংলার মানুষজনকে সামলাক।
আরও পড়ুনঃ নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক লোকাল ও মেট্রো, রেল বোর্ডকে চিঠি স্বরাষ্ট্র সচিবের
যত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে তার জন্য দায়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কারণ যে সময় লকডাউন করার দরকার ছিল সেই সময় লকডাউন করেননি বরং সেই সময় রাজনীতি করেছেন। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গে কোভিড অনিয়ন্ত্রিত হয়েগেছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584