ভাইপোকে সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে ‘শান্তিনিকেতনে’ ঢু দিদিমণিরঃ দিলীপ ঘোষ

0
66

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

 mamata banerjee | newsfront.co
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবিঃ বিভাস লোধ

মঙ্গলবার রুজির নারুলা বন্দোপাধ্যায়কে জেরা করতে তাঁর স্বামী ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় সিবিআই। কিন্তু সিবিআই পৌঁছাবার আগেই সেই বাড়িতে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বাড়িতে কী করতে গিয়েছিলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দার্জিলিং এ পৌঁছে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর স্ত্রী নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টেটমেন্ট নিতে যায় সিবিআই।

leader dilip ghosh | newsfront.co
সাংবাদিকদের মুখোমুখি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

সম্ভবত তিনি সিবিআইকে ধমকাতে বা সিবিআই এর এই তদন্ত প্রভাবিত করতেই ওই বাড়িতে পৌঁছান। যেমন তিনি তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে রক্ষা করতে তাঁর সরকারি আবাসনে ছুটে গিয়েছিলেন। অনেকটা সেই রকম ভাবে ভাইপো বৌকে বাঁচাতে ছুটেছিলেন। এছাড়াও এমন কিছু থাকতে পারে, সেগুলি লুকিয়ে ফেলতেও দিদিমণি চলে আসতে পারেন। আসলে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’ পরে তিনি আরো বলেন, ‘যেখানে যত গণ্ডগোল ঝামেলা, সেখানে পৌঁছানো কী কোনো মুখ্যমন্ত্রীর সাজে? এরপর আরো অনেকের কাছে এরকম সিবিআই এর চিঠি আসবে। এরকম আরো অনেক তথ্য রয়েছে। এই ভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুঠের তদন্ত সবার সামনে চলে আসুক।

এটাই চাইছে রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষ।’ দিলীপ ঘোষকে দার্জিলিং এ কালো পতাকা দেখানো নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছেন,’যাদের কোনো কাজ নেই নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে আমাকে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন। এখানে মূল পার্টি হচ্ছে বিজেপি। আর পাহাড়ে কোন রাজনৈতিক দলকে মানুষ চাইছে তা ভোটে দেখা যাবে। আমরা সবাইকে সম্মান করি।’ পরে তিনি আরো বলেন,’বিমল গুরুং আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন তৃণমূলের দিকে। উনি পাহাড়ের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। এলাকার মানুষ এর বিচার করবেন। পাহাড়ে এলাকার মানুষই নেতৃত্ব দেবে। পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে আমরা যত্নশীল।’

আরও পড়ুনঃ মঙ্গল পাড়া হত্যা কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা লালবাগ কোর্টে

এদিন বিমল গুরুং প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরো মন্তব্য, ‘বিমল গুরুং-কে ওখানে বিরক্ত করার জন্য আমাদের পেছনে লাগানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ টিএমসি এবং বিমল গুরুং কারওর সঙ্গে নেই। ওখানে সবাই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে। ওখানকার ছোট ছোট দল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

সেখানকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা না করার জন্য ফল আসেনি। কিন্তু বিমল গুরুং যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাহাড়বাসীদের, তা পালন করেননি।’ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিমল গুরুং-এর ওপর থেকে কেস তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। কেস দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে। কেস তুলে নেওয়া হচ্ছে রাজনীতির জন্য।

এই ধরনের রাজনৈতিক নেতা যাদের দেশদ্রোহী বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে কাজ করছেন। জঙ্গলমহলেও এদের নিজের পার্টির নেতা বানাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছেন রাজনীতির স্বার্থে কাউকে বোকা বানানো হচ্ছে, কাউকে নেতা বানানো হচ্ছে।’

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here