শ্যামল রায়,কলকাতা:-
বাংলার রাজনীতিতে উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে একথা অনবদ্য। তাই যে কোন প্রকারেই হোক বাংলায় বিরোধীরা আঁচড় কাটতে পারবে কিনা প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আজ।
শুক্রবার ছিল কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠক।
এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তাতে অনেকেই খুশি বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি প্রাথমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন একাধিক পার্শ্বশিক্ষক। ভোটের রাজনীতিতে এই সমস্ত তরতাজা পার্শ্বশিক্ষকদের একটা বিশাল ভূমিকা আছে বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তরিকভাবে মনে করেছেন। তাই কোর কমিটির বৈঠকে ঘোষণা করলেন পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা।
ঘোষণা করলেন প্রাণী মিত্রদের বেতন বৃদ্ধির কথা।
আগামী দিন যে কয়েক লক্ষ সিভিক পুলিশের বেতন বৃদ্ধি হবে এটা ধরে নেওয়া যেতে পারে তবে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে শুধুমাত্র।
পাশাপাশি অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়টিও জোর দিয়ে বলে ফেলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই উন্নয়নের জোয়ার এই রাজ্যের ভোটাররা মমতার পক্ষেই রায় দেবেন এ কথা নিরপেক্ষভাবে বলা যেতেই পারে।
তবে জেলায় জেলায় জেলা পরিষদের টিকিট নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে গিয়েছেন যে এখন আর বহু নেতা দলছুট হলে তাদের কিছু করার থাকবে না। মানুষ উন্নয়ন বোঝেন জানেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস যে ভোটে জয় নিয়ে তার কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
তবে ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা পার্টির জয় হলেও এর সেরকম প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়।
কারণ ত্রিপুরার জয় নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা বা কোনরকম উৎসব হয়নি গ্রামগঞ্জে। যতটুকু হয়েছে যৎসামান্য।
শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তি এখনও সেরকম মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নি কিন্তু ভোট দোরগোড়ায় এসে গেছে।
বিরোধী শক্তি বলতে ভারতীয় জনতা পার্টি ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী।
ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে এখনও পর্যন্ত নেতৃত্বের চরম অভাব রয়েছে বলে গ্রাম গঞ্জের সাধারণমানুষ বলেছেন।
জনসংযোগের অভাব এখনো রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বের কাছে।
তাই শাসক দলের বিরুদ্ধে টক্কর দেওয়ার মতো আজও পর্যন্ত বিরোধী কোন শক্তি জোরালোভাবে প্রচার অভিযানে শামিল হতে পারেনি বলেই ধারণা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে আধিকারিকদের টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছেন প্রশাসনিক বৈঠকে। অভাব-অভিযোগ সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরছেন তিনি। কোথায় কোনটা প্রয়োজন কোন কাজ নিয়ে অভিযোগ বিস্তারিতভাবে সরাসরি স্থানীয় বিধায়ক দের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করছেন যা কিনা বিভিন্ন চ্যানেল মারফত ও সংবাদপত্র মারফত দেখছেন সাধারণ মানুষ।
তাই এটা পরিষ্কার যে শাসক দলের নেতৃত্বে আগামী দিন বিরোধী শক্তি সেরকম একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবে না বলেই মমতার জয় নিশ্চিত উন্নয়নের জন্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584