উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগে থাকতেই রাজ্যে বিজেপির জমি তৈরি করে দিচ্ছিল। তাই বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের নিজের দলের নিয়ে যেতে বিজেপিকে সাহায্য করছিলেন।
বুধবার মৌলালির রামলীলা ময়দানে দলের মাইনরিটি সেলের এক সভায় এমনটাই বক্তব্য রাখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে কোনও রাখঢাখ না করেই তিনি সাফ বলেন, “বিজেপির জমি শক্ত করে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস আর বামেদের দল ভাঙিয়েছিলেন।“
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধানসভা নর্বাচনের আগে রাজ্যে যেভাবে দল বদলের পালা শুরু হয়েছে তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস পর্যন্ত। শুভেন্দু অধিকারীর মতো দপুটে নেতা ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসকদল।
আরও পড়ুনঃ আইন প্রত্যাহার না হলে বরিসকে আসতে মানা
এদিকে, কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই লড়ছে কংগ্রেস ও বামেরা। ওই দুই দলের তৃণমূল স্তরে ভাঙন অব্যাহত। ফলে মুখে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেও রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া রথ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা যে তাঁদের নেই তা ভালই জানেন দুঁদে রাজনীতিবিদ তথা বহরমপুরের দাদা অধীর। উল্লেখ্য, বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ অটল জামানায় শুভেন্দু কেন বিজেপিতে যোগ দেয়নি- কাঁথিতে প্রশ্ন ফিরহাদের
সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে গেরুয়া শিবিরকে সংখ্যালঘু অর্থাৎ মুসলিম বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল। অবশিষ্ট মুসলিম ভোটব্যাংক বাঁচাতে তৎপর কংগ্রেসও। কিন্তু এবার সংখ্যালঘুবিরোধী তকমা ঘুচিয়ে দিতে পালটা চাল দেয় বিজেপি। শনিবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৫ তৃণমূল নেতা যোগ দিল গেরুয়া শিবিরে। সঙ্গে দল বদলালেন একঝাঁক সাংসদ, বিধায়ক ও বিশিষ্ট নেতৃত্ব।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিলেন ৯ বর্তমান বিধায়ক-সহ এক সাংসদও। পাশাপাশি যোগ দিলেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছয় সংখ্যালঘু নেতার দলবদল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584