সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী যুবক। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের হাতে তুলে দিল এসএসকেএম হাসপাতাল বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। দেহ শেষকৃত্য না করতে পেরে মৃতদেহ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ মৃতের পরিবার।
সূত্রের খবর, মহালয়ার রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে কলকাতার চেতলা ৯বি এলাকায় নিজের শ্বশুর বাড়িতে আত্মঘাতী হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতাপ বৈদ্য (২৪)। এরপরই তার মৃত্যুর খবর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন মারফত জানানো হয় পরিবারের লোকজনকে।
খবর দেওয়া হয় পুলিশকে ঘটনার খবর পেয়ে চেতলা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। বিপত্তি ঘটে পরিবারের লোকজন যুবকের মৃতদেহ নেওয়ার পরে।
আরও পড়ুনঃ সন্তান বিয়োগ, অভাবের জোড়া ধাক্কায় মহালয়ায় আত্মঘাতী দম্পতি
দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিলে তারা মৃতদেহ শেষকৃত্য করতে বারুইপুর শ্মশানে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃতদেহ শেষকৃত্য করার সময় সন্দেহ হয় দেহ ময়না তদন্ত না করে শুধুমাত্র ভুঁয়ো সেলাই করে ময়নাতদন্তের শংসাপত্র পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছে এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। আর সেজন্যই মৃতদেহ শেষকৃত্য করতে অনুমতি দেয়নি শ্মশান কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের দেহ উদ্ধার, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা
অন্যদিকে মৃতদেহ শেষকৃত্য করার জন্য যাতে পুনরায় দেহ ময়না তদন্ত করানো হয় সেজন্য মৃতদেহ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন তারপরও মেলেনি কোন সুরাহা। পাশাপাশি পরিবারের লোকজন আরও জানায়, বছর দুয়েক আগে চেতলার ৯বির বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা পন্ডিতের সাথে প্রেম পরিণয়ে আবদ্ধ হয় প্রতাপ বৈদ্য। পেশায় একটি বেসরকারি সংস্থার গাড়িচালক ছিলেন প্রতাপ। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে থাকত প্রতাপ বৈদ্য।
অবশ্য যুবকের দেহ ময়নাতদন্ত না করায় সন্দেহের দানা বেঁধেছে পরিবারের লোকজনের মধ্যে তাদের দাবি কিভাবে ময়নাতদন্ত না করে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের শংসাপত্র দেওয়া হলো। তাই মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করানোর জন্য ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন।
অন্যদিকে প্রতাপ বৈদ্য আত্মঘাতী হয়েছে মানতে নারাজ তার পরিবারের লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে এমনটাই দাবি তাদের পরিবারের লোকজনের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584