শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
ত্রিপুরায় পুরভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে। ফের বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলো বিরোধীদের ওপর আক্রমণের। ত্রিপুরার ৬টি নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পুরপরিষদ এবং আগরতলা পুরনিগমের মোট ২২২টি আসনের জন্য ৬৪৪টি বুথে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে ৩৭০টি ভোটকেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর এবং ২৭৪টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হতে না হতেই তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে সে রাজ্যে।
ভোটদাতাদের মধ্যে যথেষ্টই ভয়ের আবহ। তৃণমূল কংগ্রেসের এক পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর বাড়ি ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। তবে সর্বত্রই অভিযোগ পুলিশকে দেখা গিয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আমবাসায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী স্বপ্না পালের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। উল্লেখ্য, এর আগেও তৃণমূলের ছাত্র যুব নেতা কর্মীদের ওপর আমবাসা যাওয়ার পথে হামলা চালানো হয়েছিল কয়েক মাস আগে।
আরও পড়ুনঃ মেঘালয়ের কংগ্রেসে বড় ভাঙন, ১২ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে যোগ দিলেন তৃণমূলে
এবারেই প্রথম ত্রিপুরার পুরভোটে মোটায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। অতি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলিতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। আগরতলার ভোটকেন্দ্রগুলিতেও রয়েছে কড়া নিরাপত্তা । কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ বুথের বাইরেই হচ্ছে মারধর, হামলা, সন্ত্রাস। বিলোনিয়ায় সিপিআইএম প্রার্থীর বাড়িতেও আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে মুম্বাই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দপ্তরে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, ‘নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তাহলে বিজেপি হেরে যাবে।’ যদিও কোন হিংসার ঘটনাতেই তারা জড়িত নয় বলে দাবি বিজেপির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584