নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
শুক্রবার আসন সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে। এই বিজ্ঞপ্তির পরে কারও কোনও আপত্তি থাকলে বা কোনও ভুল সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন মন হলে আবেদন করা যাবে। সংশোধনের পর আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং তারপরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ৯৩টি পুরসভার মধ্যে কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট এপ্রিলের শুরুতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি পুরসভাগুলির ভোট মে মাসে হতে পারে।
তবে আসন সংরক্ষণের কারণে এবার তৃণমূলের অনেক প্রভাবশালী নেতাই পুরসভা ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। তার মধ্যে যেমন আছেন কিছু মেয়র পারিষদ, আছেন কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানরাও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আসন সংরক্ষণের কারণে মেয়র পারিষদদের মধ্যে স্বপন সমাদ্দার, রতন দে, দেবব্রত মজুমদার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা নির্বাচিত হওয়া ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। একই কারণে বরো চেয়ারম্যানও নিজের আসন থেকে দাঁড়াতে পারছেন না ওই তালিকা অনুযায়ী।
আরও পড়ুনঃ দাবিন্দরের গ্রেফতার ভারতীয় সেনার আদর্শবাদী ধারণাকে কি অনেকটাই বদলে দিয়েছে?
তবে বামেদের ক্ষেত্রেও এই চেহারা খুব একটা সুখকর নয়। বেহালার কাউন্সিলর ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডটি (তফসিলি জাতি, মহিলা) সংরক্ষিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডটিও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আরএসপি নেতা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ও ওই আসন থেকে লড়তে পারবেন না। কলকাতার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেনের ওয়ার্ডও মহিলা সংরক্ষিত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড, যেখান থেকে গত নির্বাচনে জিতে মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, সেই ওয়ার্ডটিও সংরক্ষিত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এই ওয়ার্ড থেকে এবার শোভন দাঁড়াবেন কিনা তাও নিশ্চিত না।
আরও পড়ুনঃ জোড়া ব্ল্যাক প্যান্থারের খোঁজ বক্সায়
জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ নেতাই মেনে নিতে পারছেন না,৷ নিজস্ব ওয়ার্ডের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালে ভোটে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃণমূল নেতা স্বপন সমাদ্দার বলছেন, “আমার এলাকার মানুষ কাঁদছে এ কথা শুনে। আমি দলের বোঝা হতে চাই না। দলের এটা ভাবা উচিত। পাঁচ বছর কাজ করার পর যদি, ওই ওয়ার্ডে না দাঁড়াতে পারি, তাহলে কাউন্সিলরদের মনোবল নষ্ট হয়ে যাবে।”
আবার রতন দে-র গলায় শোনা গেল যেন অনুযোগের সুর। তিনি বলেন, “আমি আর কী বলব বলুন। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে। আমার আর কী করার আছে।”
আরও পড়ুনঃ ঘন কুয়াশাবৃত ডায়মন্ড হারবার
অন্যদিকে আসন সংরক্ষণ নিয়ে সিপিএম কাউন্সিলর নিহার ভক্তের বক্তব্য, “পাঁচ বছর ধরে এই ওয়ার্ডটাকে গুছিয়েছি। এ বার যদি সংরক্ষণের তালিকায় পড়ে যায়, তা হলে কী করব? পার্টি যদি অন্য জায়গা থেকে দাঁড় করায়, আমি দাঁড়াব।”
সুত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই ওয়ার্ড সংরক্ষণের বিষয়টি মিউনিসিপ্যাল ইলেকশন ম্যানুয়ালে রোস্টার অনুযায়ী ঠিক করা হয়।
ওই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা বিন্যাসের ভিত্তিতে ঠিক হয়, সংরক্ষণের বিষয়টি। তৃণমূলের বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ও বলছেন জানিয়েছেন এতে দলের কোনও ভূমিকা নেই। পুরোটাই ইলেকশন ম্যানুয়াল অনুযায়ী হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584