নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের কবলে গোটা পৃথিবী। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা। করোনা রুখতে এখন একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিন। আর এই ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিশ্বে এগিয়ে ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও চলছিল। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। বেশ কয়েকজনের দেহে দেখা গেল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এরপরই ট্রায়াল আপাতত বন্ধ করে দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাতে উদ্বেগ বেড়েছে অনেকের।
ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল বলেন, “এখনই এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের ট্রায়ালের সময় এমনটা হয়েই থাকে। এটা একটা ভালো বিষয় যে ভ্যাকসিন দৌড়ে না গিয়ে আমরা সঠিকভাবে কাজটা করছি। যার জন্য কী কী উন্নত করা প্রয়োজন সেই বিষয়গুলি ধরা পড়ছে।”
আরও পড়ুনঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি:৯ ই সেপ্টেম্বর
তিনি আরও বলেন, “যখন এরকম কোনও পরিস্থিতি আসে তখন ট্রায়াল থামিয়ে পুনরায় পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। সেই কারণেই ট্রায়াল।” ভ্যাকসিন ব্যবহার করার সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি এড়াতেই এই ট্রায়াল করা হয়। আর কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলাকালীন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে। তবে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটল।
আরও পড়ুনঃ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে চুপ! প্রতিবাদে ফেসবুক ছাড়লেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। কিন্তু সুরক্ষা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় আমরা নিজেদের ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখছি। এই ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপরেই এর ট্রায়াল ফের শুরু হবে। কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করার সময় কোনও ভলান্টিয়ারের শরীরে তার বিরূপ প্রভাব দেখা যায় তাহলে এই পদ্ধতিই মেনে চলতে হয়।” অক্সফোর্ডের টিকা ট্রায়াল স্থগিত থাকলেও ভারতের নিজস্ব দুটি ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল চলছে জোরকদমে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584