মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
সারাদেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। সেই লকডাউন ঘোষণার পর কার্যত কর্মহীন হয়ে পড়ে সাধারন মানুষ। এমনকি কর্মহীন হয়ে পরে ছোটখাট বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীরা। লকডাউন এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাতে হাল স্বাভাবিক হয়নি। তাতে অন্যান্য মানুষের মতই নানা অভাব অনটনে মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ক্ষৌরকার সমিতির সদস্যরা।
মঙ্গলবার মাথাভাঙ্গা ক্ষৌরকার সমিতির পক্ষ থেকে তাদের অভাব অভিযোগ নিয়ে মহকুমা শাসক ও মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিডিওর নিকট স্মারকপত্র জমা দেন। এদিন সেখানে উপস্থিল ছিলেন মাথাভাঙার ক্ষৌরকার সমিতির সভাপতি কমল শীল শর্মা, সম্পাদক বিনয় শীল, সুশান্ত শীল সহ আরও অনেকে। এদিন ওই ক্ষৌরকার সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকপত্র মহকুমা শাসককের এবং মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে স্মারকপত্র জমা নেন অফিসের অন্য আধিকারিকরা।
এদিন এবিষয়ে মাথাভাঙার ক্ষৌরকার সমিতির সভাপতি কমল শীল শর্মা বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকার লকডাউনের ঘোষণা করে। আর সেই লকডাউনকে মান্যতা দিয়ে আমরা আমাদের ক্ষৌরকর্ম বন্ধ রাখি। কিন্তু দীর্ঘ ১ মাস কেটে যাওয়ার পর বর্তমান সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে জলের তোড়ে ভাঙলো কুলিক নদীর বাঁধ
বর্তমানে আমাদের রোজগার বন্ধ আছে, আর্থিক অনটনে পড়েছি, পরিবার পরিজনদের নিয়ে দু’মুঠো খাবারের ব্যবস্থা যোগানের পথ হারিয়ে ফেলেছি। দু-চার টাকা হাতে ছিল তাও বসে খেয়ে তা শূন্য হয়ে গেছে। আমরা এখন অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে চলছি। তাই সংসার ও পরিবার বাঁচাতে বাধ্য হয়ে আমরা মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
আমরা চাই প্রশাসন আমাদের কিছু খাবারের ব্যবস্থা ও আর্থিক সাহায্য করুক। লকডাউনের এই সময় গুলিতে যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারি সেই জন্য ত্রান ও আর্থিক সাহায্য, সংগঠনের পক্ষ থেকে চেয়েছি।
পাশাপাশি তিনিও আরও বলেন, আমাদের অভাব অভিযোগ নিয়ে মাথাভাঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির নারী-শিশু সমাজকল্যাণ ও ত্রাণ কর্মাদক্ষ কল্যাণী রায়ের বাড়িতে সামাজিক দূরত্ব মেনে তার কাছে আমাদের দুঃখের কথা জানিয়ে এসেছি। যদিও কর্মাদক্ষ বলেছেন আমাদের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584