শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
এমবিবিএস-র দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি পরীক্ষার (প্রফেশনাল) উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের এমবিবিএস-র দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা।
তবে এই নির্দেশের পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানিয়ে দেন, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত না হতে পারলে সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ ও প্রমান দেখিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়মকের কাছে আবেদন জানাতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেবেন পরীক্ষা নিয়ামক।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ-এর আতঙ্কে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হওয়ার সমস্যার কথা জানিয়ে এবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের আদালতে। ওই পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম জানান, উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পরীক্ষা স্থগিত হবে না।
আরও পড়ুনঃ নেপালী কবি ভানু ভক্তের জন্ম জয়ন্তী পালন
তবে যুক্তিসঙ্গত কারণে মামলার আবেদনকারীরা বা অন্য কোনও পরীক্ষার্থী তার পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে না পারলে তারা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্সেস’-এর কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন-এর কাছে লিখিত জানাবেন , কী কারণে তারা পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে হাজির হতে পারলেন না। কন্ট্রোলার সেই কারণ বিবেচনা করে তাদের জন্য বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।
এ দিন মামলার শুনানিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্সেস-এর পক্ষে আইনজীবী সুপ্রতীক রায় আদালতে জানান, পরীক্ষার উপর আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত হবে না।
আরও পড়ুনঃ অমরনাথ যাত্রা বাতিলের আবেদন নাকচ সুপ্রিম কোর্টে
কারণ বেশিরভাগ পরিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত আদালতে জানান, এমবিবিএস পরীক্ষার দ্বিতীয় বর্ষের ৬৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৪৫ জন পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাকি ৬০৫ জনের কোনও অভিযোগ নেই।
এজি এও জানান, তৃতীয় বর্ষের ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৩ জন পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ৪৩১ জনের কোনও অভিযোগ নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584