চিন থেকে দিল্লিতে ৩২৪ ভারতীয়ের অবতরণ, বিশ্বে আপতকালীন অবস্থা জারি ‘হু’-র

0
31

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ ৩২৪ জন ভারতীয়কে চিন থেকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চিনের উহান প্রদেশ থেকে বিশেষ জাম্বো বিমান B747 দিল্লি এসে পৌঁছেছে, যাতে তিনজন নাবালক-সহ ৩২৪ জন যাত্রী ছিলেন। জানা গেছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। শনিবার দিল্লি থেকে চিনে আরও একটি বিমান পাঠানো হয়েছে চিনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরত নিয়ে আসার জন্য।

জানা গিয়েছে, এই বিমানটিতে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার একজন প্যারামেডিক সদস্য আছেন। যেহেতু সংক্রামিত রোগী বিমানে উপস্থিত কেবিন ক্রু ও অন্যান্য সহযাত্রীদের পক্ষে বিপজ্জনক, তাই সমস্ত ভারতীয়দের পরীক্ষা করা হবে, কারও দেহে করোনাভাইরাস ঢুকে রয়েছে কিনা জানার জন্য।

চিত্র সৌজন্যঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই যারা ভারতে এসে পৌঁছেছেন তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা হবে ইন্দিরা গান্ধি বিমানবন্দরের হল-এ। সমস্ত যাত্রীকে যুগ্মভাবে পরীক্ষা করে দেখছে এএইচও এবং এএফএমএস-এর প্রতিনিধি দল। তারপর তাদের আইসোলেটেড হল-এ পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে।আপাতত দিল্লির মানেসরে একটি আইশোলেশন ক্যাম্পে এদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও সার্বিক চিকিৎসার পর যাদের দেহে করোনাভাইরাসের সূত্র পাওয়া যাবে না, তারাই শুধু বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, আইসোলেশন সেন্টারে পড়ুয়াদের তিনটি দলে ভাগ করে পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দলটিতে যাদের দেহে জ্বর বা সর্দি অথবা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ রয়েছে, তারাই থাকবেন। তাদের তৎক্ষণাৎ দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। দ্বিতীয় দলে থাকবেন সেই পড়ুয়ারা, যাঁদের মধ্যে রোগের লক্ষণ নেই অথচ তাঁরা সি-ফুড খেয়েছেন বা পশু বাজারে গিয়েছেন; অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত কোনও চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। তৃতীয় দলে থাকবেন, অপেক্ষাকৃত নিরাপদরা, যাঁদের মধ্যে কোনও ‌লক্ষণ নেই কিংবা তাঁরা কোনও সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি। তিন দলের সকলেই ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকবেন বলে জানা গেছে।

১৪ দিন পরে যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা যাবে না, তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাড়ি চলে গেলেও তাঁরা জেলা অথবা রাজ্যস্তরে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ফেরত আসা ভারতীয়দের মধ্যে ২১১ জন শিক্ষার্থী ও ১১০ জন চিনে কর্মরত ছিলেন। চিন প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত সেদেশে ২৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১১,৮০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মার্কিন নাগরিকদের চিনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ করোনাভাইরাসকে ‘গ্লোবাল এমার্জেন্সি’ বলে ঘোষণা করেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here