শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তা রোখাই মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সেই কারণে বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাকে শুধু ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাপ্রুভ্যাল’ দেখিয়ে একের পর এক ওষুধ নিয়ে তা হাসপাতালে পাঠিয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
ফলত এপ্রিল থেকে ৩৫ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। সরকারের তরফে এই বিপুল পরিমাণ পাওনা মেটানোর কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ফলত এতদিন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ওষুধ সরবরাহ চালু রাখলেও এবার কার্যত সরবরাহ বন্ধের পথেই হাঁটতে চলেছেন ওষুধ সরবরাহকারীরা।
আরও পড়ুনঃ এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে করোনার থাবা
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনমতো ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। পরে, এই ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর দাম সংস্থাগুলিকে মিটিয়ে দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কোন কোন সংস্থা এই ওষুধ সরবরাহ করবে, তা ঠিক করা হয় দরপত্রের মাধ্যমে। কিন্তপ করোনা মহামারী আবহে অন্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর দাম মেটানোর ক্ষেত্রে নিশ্চুপ স্বাস্থ্য দফতর।
করোনার জন্য বিপুল খরচ করলেও অন্য ওষুধের দাম মেটাতে যেন কোনও ইচ্ছেই নেই তাদের। ফলে কার্যত এপ্রিল মাস থেকে তাঁরা নিজেদের পাওনা টাকা পাননি। এমনকী, গত আর্থিক বছরের বকেয়া টাকার একটা বড় অংশও এখনও পরিশোধ করেনি সরকার।
আরও পড়ুনঃ দেওয়া সত্ত্বেও পিপিই ছাড়াই করোনা রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের
ক্যানসার, ডায়াবিটিসের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যানাস্থেটিক, গ্লাভস, পেসমেকার এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর দাম বাবদ প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে আছে মেডিক্যাল কলেজগুলির কাছে। সেই কারণে এবার সংগঠিত ভাবে অন্তিম পদক্ষেপের দিকে হাঁটছে শুরু করার কথা চিন্তাভাবনা করছে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584