নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
পেশাগত দাবি আদায়ে আদিগঙ্গার নোংরা জলে নেমে বিক্ষোভের ঘটনায় হইচই ফেলে দেওয়ার পর এবার নবনির্বাচিত বিধায়কদের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষামিত্র সমিতি।
অভিযোগ- সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের অন্যান্য কর্মীদের ন্যায় শিক্ষামিত্রদের ৬০ বছরের নিশ্চয়তা সহ একাধিক নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প অধিকর্তার বদান্যতায় ৭ বছর ধরে সান্মানিক ভাতা বন্ধশিক্ষামিত্রদের। দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আদিগঙ্গার নোংরা জলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষামিত্ররা। তথাপি অদ্যাবধি তাদের সমস্যা সমাধান এগিয়ে আসেনি সরকার। বাধ্য হয়ে নির্বাচন পরবর্তী লড়াইয়ের প্রস্তুতি কর্মসূচি শুরু করেছে তারা।
এবিষয়ে শিক্ষামিত্র সমিতির রাজ্য কনভেনর ইসরাইল হক বলেন, “আমরা ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের’ কর্মী শিক্ষামিত্র হিসাবে নিযুক্ত হই, আমাদের ৬০ বছরের নিশ্চয়তা সহ একাধিক সরকারী নির্দেশিকা এড়িয়ে প্রকল্প অধিকর্তার বদান্যতায় ২০১৩ সালে শিক্ষামিত্রদের এডুকেশন ভলিন্টিয়ার হিসাবে নিয়োগ দেয় এবং বিনা নোটিফিকেশনে ৭ বছর ধরে সামান্য ২৪০০ টাকা সান্মানিক বন্ধ। আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়তে তৈরী। “
লকডাউন চালু থাকার কারণে জমায়েত করা যাচ্ছে না তাই এলাকার বিধায়কদের সম্বর্ধনা ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে পরবর্তী আন্দোলনের। ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী সহ মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, গোলাম রাব্বানী এবং ৩০ বেশি বিধায়কদের সম্বর্ধনা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে সমস্ত বিধায়কদের কাছে শিক্ষামিত্রদের বঞ্চনার অবসানে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584