নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিংঃ
শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমার ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে নোভেল করোনা ভাইরাস সম্বন্ধীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পরিকাঠামো পরিদর্শন করলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন তিনি প্রথমে স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এক স্বাস্থ্যকর্মীর হাতে হ্যান্ডগ্লাভস না থাকায় ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। এরপর সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে বলেন হ্যান্ডগ্লাভস ও মাস্ক পড়ে পরীক্ষা করার কথা বলেন তিনি। এর পাশাপাশি গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন যে এদিন ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি পরিদর্শন করে দেখলাম। নেপালে বহু ভারতীয় নাগরিক যাচ্ছেন। একইভাবে নেপালের ও নাগরিক ভারতে প্রবেশ করছে।
আরও পড়ুনঃ স্থগিত উচ্চমাধ্যমিক
যেহেতু উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি থাকায় এটা সীমান্ত এলাকাটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই সীমান্ত পারাপারকারীদের আমরা স্ক্রিনিং করছি। তাদের শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করছি। প্রত্যেকের নাম ও তথ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এখানে আমাদের এসএসবি ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা কাজ করছেন।
আরও পড়ুনঃ ফের লন্ডন ফেরত বালিগঞ্জের যুবকের দেহে মিললো করোনার জীবাণু
এদিন নেপালের ১৭২ জন নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে যেহেতু তাদের শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত ছিল। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বা যারা সীমান্ত পাহারা দাড়িতে মোতায়েন রয়েছে তাদের সকলকে মাক্স, গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পরামর্শ দিয়েছি এবং যতটা সর্তকতা অবলম্বন করা যায় তা নিতে বলেছি।
যেহেতু ভারতের সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চ্যাংড়াবান্ধা ও চামুরচি এই জায়গা গুলি সংবেদনশীল। সে ক্ষেত্রে এইসব যারা গুলিতে বাড়তি সতর্কতার নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। অপরদিকে জানা গিয়েছে এদিন নেপাল থেকে আসা নয়জন ভারতীয় ভারতে প্রবেশ করার করার জন্য তাদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে।
সেই সময় তাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সঙ্গে সঙ্গে বাতাসি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যায় হয়। সেখানেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে। ওর মধ্যে কেউ মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মাথাভাঙার বাসিন্দা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584