মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
শীতলকুচি থানার অন্তর্গত বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঝর্নারপাড় গ্রামের টোটো চালক রবিকান্ত বর্মনকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
সেই খুন হওয়া টোটো চালক রবিকান্ত বর্মনের বাড়িতে বুধবার গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। তারপর বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ খুন হওয়া রবিকান্ত বর্মনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং খোঁজ খবর নেন।
এদিন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক হিতেন বর্মন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মালতি পাল, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবেদ আলী মিয়া, সুব্রত রায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পুষ্পজিত সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা সাহায্য, বিদ্যুৎ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মন্ত্রী ও বিধায়ক সম্মিলিত ভাবে পরিবারের হাতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “যারা নৃশংস ভাবে এই টোটো চালককে খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হিসাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।” তাছাড়া তিনি পুলিশ প্রশাসনকেও দ্রুত আসামিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি থানার অন্তর্গত বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঝর্নারপাড় গ্রামের টোটো চালক রবিকান্ত বর্মনকে গুলি করে খুন করে কিছু দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ। প্রতিদিনের মতো রাতে ভাওর থানা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যাচ্ছিলেন টোটো চালক রবিকান্ত বর্মন। সেই সময় দুষ্কৃতীকারীরা মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুন করে টোটো চালককে।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরে দুর্গাপূজা কমিটিগুলোকে নিয়ে বৈঠক পুলিশের
পরে স্থানীয়রা, যাত্রীদের চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন ওই টোটো চালক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। মৃতদেহ থেকে কিছুটা দূরে একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় শীতলকুচি থানার পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় কারা যুক্ত আছে গোটা বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584