শ্যামল রায়,কালনাঃ
একদিকে কর্মীর অভাব অন্যদিকে কর্মী থাকলেও পাঠকের অভাবে বহু গ্রন্থাগার বন্ধের মুখে।খোদ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তাঁর বিধানসভা এলাকা মঙ্গলকোটের মাঝি গ্রামের গ্রন্থাগার কর্মীর অভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে।জানা গিয়েছে যে গত মে মাসে গ্রন্থাগারিক অবসর নেওয়ার পরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে মাঝিগ্রাম সাধারণ গ্রন্থাগার।
অভিযোগ উঠেছে গ্রন্থাগারটি বন্ধ হয়ে থাকার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার বই সহ কম্পিউটার এবং জেরক্স মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।এ বিষয়ে জেলা গ্রন্থাগারিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে যে, জেলাতে ১৩টি গ্রন্থাগারে কর্মীর অভাব ছিল অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করে চালুর চেষ্টা চলছে।এছাড়াও বিভিন্ন এলাকাতে রয়েছে বেশ কিছু গ্রামীন গ্রন্থাগার সেই সমস্ত গ্রন্থাগারে কর্মী থাকলেও কিন্তু পাঠক এর অভাবে বন্ধ হতে চলেছে।এছাড়াও কোয়ারপুর মালিয়ারা চাকুলিয়া আয়মাপাড়া সহ বেশ কিছু গ্রাম থেকে বহু পাঠক আগে এই সমস্ত গ্রন্থাগারে বই নিতে আসতেন এবং পড়াশোনার মধ্যে ছিলেন কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তে পড়াশোনা আর এখন গ্রন্থাগারে হয় না সবাই মোবাইলে করে থাকছেন।অথচ বহু গ্রন্থাগারে লক্ষ লক্ষ টাকার বই রয়েছে এমনকি পরিকাঠামোর যথেষ্ট উন্নতি ঘটানো হয়েছে তা সত্বেও পাঠকের অভাবে বহু গ্রন্থাগার বন্ধের মুখে।পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের এবং ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে পাঠকের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন গ্রন্থাগার।শ্রীরামপুর গ্রামে তরুণ সংঘ লাইব্রেরী লক্ষ লক্ষ টাকা বই পড়ে রয়েছে কিন্তু কর্মী অবসর নেওয়ার পরে নতুন একজন কর্মী যাতায়াত করলেও পাঠকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ছে।এছাড়াও কাটোয়া১ ও ২ নং এবং কালনা ১ ও ২ নং জুড়েও বহু গ্রন্থাগারে পাঠকের অভাবে গ্রন্থাগারগুলো প্রায় অচলের মুখে।
তাই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে বইমুখী করতে হলে নতুন ভাবে ভাবতে হবে বিভিন্ন গ্রন্থাগারের।শুধু বই পড়ার কথা বললে কেউ যাবেনা নিত্যনতুন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বইমুখী করার পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে তাহলেই সম্ভব বিভিন্ন গ্রন্থাগার গুলো বাঁচিয়ে রাখা নইলে আস্তে আস্তে পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হবে এই সমস্ত গ্রন্থাগারগুলি।তবে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ডিজিটাল যুগে নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে আজ আমাদের গ্রন্থাগারগুলোর পরিকাঠামো যেমন উন্নতি ঘটানো হয়েছে তেমনি কর্মী নিয়োগের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থাগারগুলিকে সচল রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আশা করব শীঘ্রই পাঠকমুখী করা যাবে বিভিন্ন গ্রন্থগার গুলিতে।
আরও পড়ুন: নদীয়ার সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584