রামদেবকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ আয়ুষ মন্ত্রকের

0
128

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

গোটা বিশ্বকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে একটা মাত্র ভাইরাস। যার নাম করোনা ভাইরাস। হ্যাঁ, এই মারণ ভাইরাসের দাপটেই প্রায় স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন। কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না কোভিড-১৯। পৃথিবীর বুকে একেবারে আস্তানা গেঁড়ে বসেছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় নি। এই মারণ রোগ সেরে যাবে এমন কোনো ওষুধও এখনও পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয় নি। ফলে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।

Ministry of ayush | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এরই মধ্যে একটু স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছিল পতঞ্জলি। এবার আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে করোনাকে হার মানানোর তৈরি করে ফেলেছে যোগগুরু বাবা রামদেবের কোম্পানি পতঞ্জলি। “রোগীদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন ১০০ শতাংশ সাফল্য মিলেছে” মঙ্গলবার ওষুধ প্রকাশ্যে এনে এমনটাই দাবি করেছে রামদেবের পতঞ্জলি সংস্থা।

পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা, যোগ শিক্ষক রামদেব বলেছেন, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের করোনিল। খেলেই সাত দিনের মধ্যেই দূর হবে করোনা, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। যদিও বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের নিরাময়ের জন্য হন্ন্যে হয়ে দিবারাত্র কাজ করে চলেছেন।

আরও পড়ুনঃ পতঞ্জলির ওষুধে ৭ দিনেই বিদায় নেবে করোনা, দাবি রামদেবের

রামদেব জানান, “অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, যে পতঞ্জলি রিসার্চ সেন্টার ও এনআইএমএস-এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রথম আয়ুর্বেদিক ওষুধ আমরা নিয়ে এসেছি। আমরা আজ কোভিড ওষুধ চালু করছি, যার নাম করোনিল এবং স্বসারি। আমরা এর দু’টি পরীক্ষা চালিয়েছি, প্রথম ক্লিনিকাল নিয়ন্ত্রিত গবেষণা, যা দিল্লি, আহমেদাবাদ সহ অন্যান্য অনেক শহরেই হয়েছিল। এই পরীক্ষার অধীনে ২৮০ জন রোগী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের ১০০ শতাংশই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।”

আরও পড়ুনঃ মুখে মাস্ক না থাকার অভিযোগে ৯ হাজারের বেশি মামলা দায়ের পুলিশের

এই প্রকল্পে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস বা জয়পুরের এনআইএমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কাজ করেছে পতঞ্জলি। এবার পতঞ্জলির তৈরি সেই ওষুধ নিয়েই বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠাল কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, এই ধরনের দাবির কোনও পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ না থাকায় ওষুধটির প্রচার, বিজ্ঞাপন, বিপণন, সবই বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এদিকে, বিকল্প নিরাময়ের দাবি বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হু বলেছে, “কিছু পশ্চিমী, ঐতিহ্যবাহী বা ঘরোয়া প্রতিকারে আরাম মিলতে পারে এবং কোভিড-১৯ এর লক্ষণগুলি হ্রাস পেতে পারে, তবে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে সেই সব ওষুধ এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে বা নিরাময় করতে পারে। তাই অ্যান্টিবাইটিক সহ কোনও ওষুধই বা নিজের তৈরি করা ওষুধ বা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ কখনোই দেয় না হু।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here