নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
আবারও গনধর্ষনের শিকার এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রী।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকায়। অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কোলাঘাট থানার বাগডিহা গ্রামের ফাঁকা মাঠের ধারে চার যুবকমিলে পৈশাচিক ভাবে গনধর্ষন করে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, এই পাঁশকুড়া থানার চাপদা গ্রামের শুভম তুং এর সঙ্গে কোলাঘাট থানা এলাকার যোগীবেড় গ্রামের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বছর তিনেকের সম্পর্ক।একই স্কুলের পড়ুয়া তারা। পরীক্ষায় নবম শ্রেনী থেকে ছাত্রীটি পাশ করলেও শুভম পাশ করেনি।
পরবর্তী সময়ে বেশকিছু কারনে স্কুল থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয় মাস ছয়েক আগে।
শুভম স্কুল ছাড়লেও ভালবাসার বিচ্ছেদ ঘটেনি দুজনের সম্পর্কের মধ্যে।দুজনের মধ্যে এই সম্পর্কটা দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানিও হয়। মাঝেমধ্যে টিউশনি পড়ার নাম করেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি চলত বলে ছাত্রীটির প্রতিবেশিদের অভিযোগ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় এমনি করেই টিউশনি পড়তে যাওয়ার নাম করেই সন্ধ্যা নাগাদ ঘর থেকে বেরহয়।এরপর নির্জন এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে স্থানীয় বাগডিহা গ্রামের ফাঁকা মাঠের ধারে চলে আসে দুই প্রেমিক প্রেমিকা। এরপর অভিযোগ চার যুবক এসে পৈশাচিকভাবে ঐ ছাত্রীকে গনধর্ষন করে লাগাতার।
এরপর শুভমই অসুস্থ ঐ ছাত্রীটিকে বাড়ির কিছুটা দূরে ছেড়ে চলে যায়। এরপর অসুস্থ ঐ ছাত্রী ঘটনার বিবরন পরিবারকে জানায়। এরপর রাতেই ঘাসমারার বিষ খায় আত্মহননের জন্য। এরপর গভীর রাতেই মেছেদার একটি বেসরকারী নার্সিং হোমে ভর্তি করে পরিবারের লোকেরা।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয়ভাবে টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শুভমের বাড়ির লোকজন। এই ঘটনার ছাত্রীটির পরিবারের সন্দেহের তীর শুভমের দিকে। তাদের অভিযোগ শুভমের যোগসাজশেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওদেরই বন্ধুরা।
এই ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও পরিবারের লোকজন সোমবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এই মুহুর্তে ছাত্রীটি বিষ খাওয়ার কারনে রীতিমতো আশংকাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এই গনধর্ষনের ঘটনায় এলাকায়,রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।তবে ঐ বাকি চারজন যারা এই গনধর্ষনের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের পূর্ব পরিচিত ছিল বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দুজনের বাড়ি কোলাঘাট থানার পুলশিটা গ্রামে ও একজনের বাড়ি বাগডিহা গ্রামে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে গণধর্ষণের এগারো দিন পরে অভিযোগ দায়ের
এই ঘটনা অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।পাঁশকুড়া থানার পুলিশ চাপদা গ্রামে শুভমের বাড়ি গেলেও বাড়ির লোকজন রাত থেকেই বেপাত্তা। ঘরে চাবি দিয়ে গতকাল রাতেই পুরো পরিবার চলে যায়।পাশাপাশি বাকি চারজনকে ধরতে কোলাঘাট থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584