শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী যখন একদিকে ধর্ষণ রোধে তৎপর হচ্ছে সর্ব দেশের সরকার বা প্রশাসন। ঠিক তখনই সর্বত্র জুড়েই সমাজের একদল নরপিশাচ, যারা তাদের বিকৃত যৌনকামিতা দিয়ে কেড়ে নিচ্ছে সমাজের বহু নারীর প্রাণ। তাদের মানসিকতা এতটাই নিম্ন পর্যায়ের, তাদের কাছে আট থেকে আশি সবাই সমান। নারীদেহ পেলেই ওরা নৃশংসভাবে মেতে উঠে পৈশাচিক উল্লাসে, অকালে প্রাণ যায় এক নিপীড়িত নারীর। অকালে খালি হয় কোন এক মায়ের কোল।
চলতি সপ্তাহে এমনই এক নৃশংস ঘটনা ঘটল রাজস্থানের আলওয়ার জেলায়। গত মঙ্গলবার বিশেষভাবে সক্ষম ১৬ বছর বয়সী নাবালিকাকে তিলজলা উড়ালপুলের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, ঐ নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। তারপর তাকে উড়ালপুলের নীচে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে আলওয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু এই হাসপাতালের ডাক্তাররা রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্যর্থ হন। তাই পরবর্তীতে সেখান থেকে জয়পুরের জে এন হাসপাতালে স্থানন্তরিত করা হয়। সেখানে ডাক্তাররা দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা ধরে অস্ত্রপাচার করেন। তবে ডাক্তাররা জানান, নির্যাতিতার অবস্থা খুব সঙ্কটজনক, গোপনাঙ্গ দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হরিদ্বারে ‘ধর্ম সংসদ’ সভায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ উত্তরাখন্ড সরকারকে
অন্যদিকে, এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পুলিশ দারুণ তৎপরতার সাথে কাজ করছে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেই এলাকার ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৩০০ টি সিসিটিভি তন্ন তন্ন করে ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পুরনো টিকার বুস্টার ঠেকাতে পারবে না করোনার নতুন নতুন স্ট্রেন, বলছে WHO; বিভ্রান্ত জনসাধারণ
এই ঘটনার পরে রাজস্থানের মহিলা ও শিশুবিকাশ দফতরের দায়িত্বশীল মন্ত্রী মমতা ভূপেশ বলেন, “ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুতই চিহ্নিত করে গ্রেফতার করবে পুলিশ।” পাশাপাশি নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের কথা ভেবে আর্থিক ৬ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন তিনি। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা দিন মজুরের কাজ করেন। এছাড়াও নির্যাতিতা নাবালিকার ভাই ও বোন আছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584