ওয়েবডেস্কঃ
গতকাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈএর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের রায়ের পরেও আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু পদমর্যাদা বিষয়ক মামলার আইনী জটিলতা অব্যাহত রইল। মামলাটি অর্পণ করা হল সাত বিচারপতির বেঞ্চে ।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কী ‘সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান’ না এটি একটি সার্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় ? এই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের ।
১৯৮১ সালে কার্যকরী হয় এ এম ইউ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট । এই আইন অনুযায়ী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়।
কিন্তু ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ এম ইউ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৮১ কে অমান্য করে রায় দেয় যে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ইউপিএ ( ইউনাইটেড প্রোগ্ৰেসিভ অ্যালায়েন্স) সরকার আদালতে আবেদন করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
সেই মামলায় ২০১৬ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে জানায় যে তারা ইউপিএ সরকারের আমলে করা পূর্বের আবেদন তুলে নিতে চায়। অর্থাৎ আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা দিতে অসম্মত হয় এন ডি এ সরকার। সরকার সেই সময় ১৯৬৮ সালের আজিজ বাশা মামলার রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে। সেই মামলায় পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ উল্লেখ করে যে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় একটি ‘কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’, সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয় ।
একাধিক টানাপোড়েনের মধ্যে এই মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল । শেষ পর্যন্ত গতকাল শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশে এই মামলার মীমাংসা ভার দেওয়া হয়েছে সাত বিচারপতির বেঞ্চে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584