নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তরদিনাজপুরঃ
করণদিঘী ব্লকের রাহাতপুর হাই মাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক রাজকুমার রায়(৪০)।ইটাহার থানার বানবোল হাইস্কুলের পাশে সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ভোট গ্রহন করতে গিয়েছিলেন।মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সোনাডাঙ্গি এলাকায় তাঁর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা সত্য যাচাইয়ের জন্য নিউজফ্রন্টের পক্ষ থেকে রাজকুমার বাবুর স্কুলের(মাদ্রাসা) প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে,রাজকুমার বাবু গত ১৪.৫.১৮. তারিখে ইটাহার ব্লকের সোনার পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।সন্ধ্যা আটটা নাগাদ তাঁর স্ত্রীকে শেষ ফোন করেন এবং জানান যে ভোট শেষ হতে দেরী হবে। এই ফোন করার জন্য তিনি বুথের বাইরে গিয়ে আর ফেরেন নি।
ফার্স্ট পোলিং অফিসার তাঁর দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেন যদিও এলাকার লোক বিরোধিতা করে তাঁরা সেক্টর অফিসারদের আটকে রেখে দাবি করে প্রিসাইডিং না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
শেষপর্যন্ত, ফার্স্ট পোলিং অফিসার অফিসিয়াল কাজ শেষ করলেও রাজকুমার বাবু বাড়ি না ফিরলেও বাড়ি থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানায় যে,উনি নাকি ভয় পেয়ে কোথাও লুকিয়ে আছেন। পরিবারের চাপে শেষ পর্যন্ত বি ডি ও রাজু লামা মিসিং ডাইরি করেন ইটাহার থানায়।
মৃত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার বাবু পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য, বাবা গৃহস্ত মানুষ।ঘটনা শোনার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী বাকশূন্য আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করে জানতে পারি। রাজকুমার বাবুর দশ বছরের কন্যা ও তিন বছরের পুত্র আছে।
ভোটের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানো প্রিসাইডিং অফিসারের পরিবারের দাবী তাঁরা কোনভাবেই প্রশাসনের সাহায্য পায়নি।বার বার সেক্টর অফিসে ফোন করে তাঁরা কোন সদুত্তর দেয় নি। ভোট কর্মীদের দায়িত্ব তবে কার?রাজকুমার বাবুর নিষ্প্রাণ দেহ জন্ম দিয়ে গেল অনেক প্রশ্নের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584