বীরভূমে আসছে মোদী,আমোদিত কর্মী সমর্থকরা

0
74

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

রাত পোহালেই চরম উত্তপ্ত আবহাওয়াকে রাজনৈতিকভাবে আরো উত্তপ্ত করতে বীরভূমে দুটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নিয়ে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।বুধবার দুপুরে বোলপুর মহকুমার ইলামবাজার থানা কামারপুকুর এলাকায় এই জনসভাটি হবে।গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী আসার এই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বীরভূম জেলা বিজেপির কর্মীরা।

Modi is coming to Birbhum
নিজস্ব চিত্র

বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানান, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আমরা প্রচন্ড রকমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম যাতে প্রধানমন্ত্রীকে বীরভূমে নির্বাচনী প্রচার এর জন্য আনা যায়।অবশেষে তিনি রাজি হয়েছেন প্রচারে আসতে, বিজেপির কর্মীরা খুবই উচ্ছ্বসিত, আহ্লাদীতো। আমরাও খুব খুশি প্রধানমন্ত্রী জেলা তে পা রাখছেন এবং এমন সময় আসছেন যেখানে বাংলা জুড়ে তথা বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে এক রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে।যে অস্থিরতা থেকে বাংলার মানুষকে নরেন্দ্র মোদি মুক্তি দিতে পারে।শুধু বিজেপি কর্মী হিসেবে নয় দিকে দিকে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী কে দেখতে চাইছেন,ওনার কথা শুনতে চাইছেন,মোবাইল এর মাধ্যমে ওনার বক্তব্য রেকর্ড করে নিয়ে গ্রামে গঞ্জে মানুষ প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন,তারা সবাই আমাদের সমর্থক হবে এমনটা নয়,বহু সাধারণ মানুষ রয়েছেন যারা ভাবছেন নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বাংলারই অপশাসন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, যেভাবে মা সাধারণ মানুষকে লুটে নেওয়া হচ্ছে দিনের পর দিন, রঙ্গের গুন্ডাবাহিনীরা গ্রামের পর গ্রাম গরিব মানুষের জমি জোর করে লিখে নিচ্ছে তা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একমাত্র মুক্তি দিতে পারে, এটা মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে দিয়েছে।সেজন্যই আমরা আশাবাদী বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে দুই বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করবে।রাজনৈতিক অস্থিরতা যে বীরভূমে রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে তা কিন্তু গ্রামের মানুষরা মেনে নিতে পারেনি। গ্রামে বহু মানুষের বক্তব্য,পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকেই ভোট দিতেন, কিন্তু কেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাদের ভোট দিতে বাধা দিল এই কারণে বহু মানুষ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে রায় না দিয়ে অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে তারা বেছে নিচ্ছে ভোট দেবার জন্য। এখানেই রাজ্যজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই রাজ্য বিজেপি রাজনৈতিক কাযে নেমে পড়েছে।এখন দেখার বুধবার নরেন্দ্র মোদীর জনসভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, সেই বার্তা শোনার পরে সাধারণ মানুষ তথা বীরভূমের আমজনতাকে বিজেপি কতটা নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে তা দেখতে গেলে অবশ্যই আগামী ২৩ শে মে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ধাত্রীগ্রামে সভায় যোগী আদিত্যনাথ

তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সভা কে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।তিনি বলেন আগেই বলেছি অনেক জায়গায় ভালো কাজ থাকলে কিছু ছাগল চড়ে বেড়ায় সেরকম বীরভূমের ঘাস ভালো তাই চড়তে আসছে মোদি বাবু। কিছু লাভ হবে না, মানুষ আসবে খাবে দাবে বাড়ি চলে যাবে। ভোট তৃণমূল কংগ্রেস কে দেবে কারণ বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় উন্নয়ন দেখবে আর উন্নয়ন দেখলেই মমতা ব্যানার্জীর মুখটা মনে পড়বে তখনই নিজের ভোটটা জোড়া ফুল চিহ্নে দেবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here