মেদনীপুরে মমতার অভ্যর্থনায় আমোদিত মোদি

0
131

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে কৃষক কল্যাণ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুর ১২.৩০ সভাস্থলে পৌঁছালেন মোদি।প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সভায়  রয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও কেন্দ্র রাজ্য নেতৃত্ব।  প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা জানান দিলীপ ঘোষ। বাংলায় শুভেচ্ছোবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের পাল্টা মেদিনীপুর শহরজুড়ে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর ব্যানার, হোর্ডিং লাগিয়েছে তৃণমূল। মোদীর ছবির পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে গোটা মেদিনীপুর শহর ছেয়ে ফেলা হয়েছে। একুশে জুলাইয়ের বড় বড় কাটআউট লাগানো হয়েছিল।

নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের এই চেষ্টাকে ব্যঙ্গ করে শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের মতোই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও কৃতজ্ঞ। কারণ আমায় স্বাগত জানানোর জন্য গোটা রাস্তায় দেখলাম হাত জোড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক ছবি লাগানো হয়েছে। এটা ভারতীয় জনতা পার্টির বিরাট বড় জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল দলও কৃষকদের এই সভা সফল করতে কম চেষ্টা করেনি। কৃষক আমাদের দেশের অন্নদাতা। কোনও সমাজ ততদিন এগোতে পারবে না, যতদিন না কৃষকরা এগোতে পারবে।২০২২ সালে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।মাছ, পশুপালন, মৌমাছি পালন থেকে সব কৃষকের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।আগের সরকার বাঁশকে গাছ বলে কাটা নিষেধ করেছিল আমরা সরকারে এসে বাঁশকে ঘাস বলে তকমা দিয়েছি, আমরা বাঁশ চাষের ওপর জোর দিয়েছি। আগে বাঁশ বিদেশ থেকে আনা হতো এখন আমার দেশের আদিবাসীরা যারা বাঁশ বাগানের কাছেই বসবস করতেন তাদের বাঁশ বিক্রির অধিকার ছিল না।আমরা সেই অধিকার দিয়েছি। বিজেপি কৃষকদের জন্য এত কাজ করেছে ,গ্রামের উন্নয়ন না হলে শহর এগোতে পারবে না। বিজেপি এত কাজ করেছে যে তৃণমূলও স্বাগত জানিয়েছে।”

নিজস্ব চিত্র

তিনি আরো জানান আজ পশ্চিমবঙ্গের হাল আমরা দেখতে পাচ্ছি কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না,বেকাররা চাকরি পাচ্ছেন না। মা-মাটি-মানুষের কথা বলা তৃণমূলের আসল রূপ মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। মানুষ দেখতে পাচ্ছে সিন্ডিকেটের রূপ।এই সিন্ডিকেট কৃষক, শ্রমিকের অধিকার ছিনিয়ে, তাদের টাকা কেড়ে নেওয়ার সিন্ডিকেট। বন্যায় আলুর ক্ষতি হচ্ছে কারণ পর্যাপ্ত হিমঘর নেই। বাংলার যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না আজ পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ বহু কষ্টে বেঁচে আছে । সিন্ডিকেটকে টাকা না দিলে কিছুই করা যাবে না রাস্তা, স্কুল, কলেজ, কারখানা, ব্যবসা কিছুই করা যাবে না সিন্ডিকেটকে টাকা না দিলে। এই সিন্ডিকেটই ঠিক করছে কোন দোকান থেকে কিনতে হবে সিমেন্ট, বালি, ইট ঠিক করে দিচ্ছে।এখানে সিন্ডিকেটের ইচ্ছেতেই সব হয় সেটা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা ভালভাবে বুঝে গিয়েছেন।

নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করলেন প্রধানমন্ত্রী। সিন্ডিকেট রাজ থেকে সাম্প্রতিক কলেজ ভর্তি নিয়ে তোলবাজির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সবই। একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জের সুরে তাঁর দাবি, কয়েকমাসের মধ্যেই বামেদের মতো বাংলা থেকে বিদায় নেবে তৃণমূল সরকারও।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here