আনিসুর রহমান, নিউজফ্রন্ট:
গতকালই ছিল ভূত চতুর্দশী। এই দিনে চৌদ্দ শাক খেয়ে আর চৌদ্দ প্রদীপ জ্বালিয়ে চৌদ্দ পুরুষের অতৃপ্ত আত্মাদের তুষ্ট করে, অশুভ শক্তিকে দূর করার রেওয়াজ চলে আসছে।
সেইরকমই কিছু অতৃপ্ত আত্মাদের খোঁজ পাওয়া গেল আবার।
সরকারি নিয়মকে সম্পূর্ন অগ্রাহ্য ঐ রকমই কিছু অতৃপ্ত আত্মা সম্পন্ন শিক্ষক বা ভুঁড়তে শিক্ষক নিয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কয়েকটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি।এদেরকে ভুঁড়তে বলার কারণ-এদের মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা কোন দিন দেখতে পায়না।এমনকি সহকর্মীরাও কোন দিন চোখে দেখেনি। অথচ কাগজ কলমে নাম অন্তর্ভুক্ত। এমনই দীর্ঘ ৩৯ জনের তালিকা প্রকাশ পেয়েছে কয়েকদিন আগেই।সেই তালিকায় আরও নতুন করে তিনজন শিক্ষকের নাম যোগ হল। ইনারা নিযুক্ত হয়েছিলেন বীরভূম জেলার মেটেকোনা মৌ:আবু তাহের সিনিয়ার মাদ্রাসায়।
শিক্ষক তিনজন হলেন-মহ:খয়রুল আনম,সেখ মুস্তাক আলি এবং রিয়াজউদ্দিন।এই তিন শিক্ষক কাগজ পত্র বীরভূম ডি,আই অফিসে অ্যাপ্রুভালের জন্য জমা দেন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে।অথচ চাকুরির জয়েন্ট ডেট হলো10/12/2015।এখানেই প্রশ্নের দানা বাঁধছে।নিয়োগের প্রায় ১৫ মাস বাদে কাগজ জমা দেবার কারণ কি? আরও প্রশ্ন ওঠে এদের ব্যাকডেটে নিয়োগ হয়নি তো?
যাইহোক, বীরভূমের ডি,আই তদন্ত করে(Memo No 3506/G,date 21/07/17) অবশেষে ঐ তিন শিক্ষকের চাকুরি বাতিল করে।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিসনের অ্যাক্টের বৈধ্যতা বা নিয়োগের অথোরিটি কাদের হাতে থাকবে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিমকোর্টে।
অবৈধ্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রসঙ্গে, দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসা বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাাামেরর রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল জানান-” সুপ্রিমকোর্ট কমিসনের অ্যাক্টের বৈধ্যতা নিয়ে বিচার করছে। কমিসনের নিষ্ক্রিয়তা,কমিটির মাধ্যমে জালিয়াতি কোর্টের বিচারধীন নয়।এটা সম্পূর্ন রাজ্য সরকারে এক্তিয়ারে। কোর্ট তার শুনানিতে স্পষ্ট করে দেয় যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন ধরনের জালিয়াতি নিয়োগ সংবিধানের সংখ্যালুঘু ধারায় স্বীকৃতি নয়। সুতারাং অামরা রাজ্য সরকারে দাবী করছ অারও ৭০ টা অবৈধ্য শিক্ষক কে দ্রুত অপসারণ করা হোক”। “
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584