শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আবহেই বৃহস্পতিবার সর্প দিবসে আলিপুর চিড়িয়াখানায় অ্যানাকোন্ডার সংসারে এল ১১ জন নতুন অতিথি। একসঙ্গে ১১ টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা জন্মাল এদিন শহরে। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব বিনোদকুমার যাদব জানিয়েছেন, গত বছর চেন্নাইয়ের সর্পোদ্যান থেকে দু’ জোড়া হলুদ অ্যানাকোন্ডা আনা হয়েছিল।
চিড়িয়াখানায় কাঁচের ঘেরাটোপে জল, পাথর, গাছপালা দিয়ে তাদের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করা হয়। সেখানেই একজোড়া সাপ স্বাভাবিক মিলনের মাধ্যমে ১১ টি শাবকের জন্ম দিয়েছে। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘অ্যানাকোন্ডা চিড়িয়াখানার অন্য তম আকর্ষণ। নতুন এই শাবকগুলি সেই আকর্ষণ আরও বাড়াবে। পরবর্তী সময়ে এই সাপগুলির বিনিময়ে অন্য চিড়িয়াখানা থেকে অন্য জীবজন্তু আনা যেতে পারে।’
অ্যানাকোন্ডারা নিজের শরীরের ভিতরেই ডিম ফুটিয়ে সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে। এদের মিলনকাল সাধারণত এক মাস। ছ মাসের গর্ভধারণের পর মা সাপ সন্তান প্রসব করে। অন্য সাপের তুলনায় অ্যানাকোন্ডার ছানা আকারে বড়ো হয়। জন্ম দিয়েই মা অ্যানাকোন্ডা দূরে সরে যায়। শাবকেরা স্বাবলম্বী ভাবেই বেঁচে থাকতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যাসাগর সেতুর ধাঁচে পুজোর আগেই চালু হতে চলেছে নয়া মাঝেরহাট সেতু
বিশেষত্ব এটাই সন্তানদের থেকে দূরে সরে গিয়ে মা অ্যানাকোন্ডা কোন সমস্যা হয় না। হলুদ অ্যানাকোন্ডা বিশ্বের দীর্ঘতম সাপগুলির অনতম। লাতিন আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে এদের বেশি পাওয়া যায়। এই সাপগুলি নির্বিষ, লম্বায় ১১ থেকে ১৫ ফুট হতে পারে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, এদের রাজ্যের আরও ৩টি বনাঞ্চলে পাঠানো হবে। ঝাড়গ্রাম মিনি জু, উত্তরবঙ্গের রসিক বিল এবং খড়িবাড়ি মিন জু’তে চলে যাবে এই ১১টি শাবক অ্যানাকোন্ডা। নবজাতকদের আগমনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব সর্প দিবসকে এভাবে উদযাপন করার সুযোগ পেয়ে যারপরনাই খুশি চিড়িয়াখানা কর্তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584