সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বালক ইমোনের রহস্য মৃত্যু । মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য নামখানা থানার দক্ষিন চন্দনপিড়ি এলাকায়। পুলিশের তৎপরতায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার মৃতদেহ।মৃত বালক ইমোন ভুঁইয়া।সম্পত্তির কারনেই খুন বলে দাবী মৃত বালকের মায়ের।অভিযোগের তির বাবা কাকা এবং ঠাকুরদার দিকে।অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবী করেছেন মৃত বালকের স্বজনদের।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নামখানা থানার পুলিশ।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে।
ঘটনার সুত্রপাত ৯ জানুয়ারি,বালকের মা রানি ভুঁইয়াকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী রাজকুমার ভুঁইয়া, দেবর
দেবকুমার ভুঁইয়া ও শ্বশুর কানাই ভুঁইয়া। আক্রান্ত রানি ভুঁইয়া বৃহস্পতিবার নামখানা থানায় লিখিত অভিযোগ করতে যায়। সেখানে স্থানীয় প্রতিবেশী কমল দিন্দা সহ নামখানা থানার পুলিশের হুমকিতে অভিযোগ করা হয় না। সঙ্গে ছিল সাতবছর তিনমাসের বালক ইমোন।শনিবার আবার শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।দুপুরবেলা রান্না করে ছেলেকে খেতে দেয় রানি।খেতে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল সে। কিছু সময় পর ছেলের খোঁজ শুরু করলে দেখতে না পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে।এই সময় দেবর দেবকুমার বক্স চালিয়ে রানির চিৎকার স্তব্ধ করার চেষ্টা করে।পরে বাড়ি লাগোয়া পুকুরে ইমোনের জুতো ভাসতে দেখে স্তম্ভিত হন রানি।স্থানীয় প্রতিবেশীদের ডেকে জাল দিয়ে উদ্ধার করা হয় অচৈতন্য রক্তাক্ত ইমনকে। মাথার বামদিকে আঘাতের চিহ্ন।গলায় দাগ।জিভ রক্তাক্ত।সন্দেহ হয় মায়ের।নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করে।এরপর মাকে না জানিয়ে মৃতদেহ পুঁতে দেন ইমোনের বাবা কাকা সঙ্গে ঠাকুরদা।মা চলে বাপের বাড়িতে।মানবধিকার সংগঠনের সহযোগিতায় পরে পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হন মৃত ইমোনের মা।২০১০ সালে কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর পাকাপোলের বাসিন্দা রানির সঙ্গে বিয়ে হয় নামখানার চন্দন পিঁড়ির বাসিন্দা রাজকুমারের। দিনমজুর রাজকুমার ভাইয়ের কথা মতো স্ত্রীকে ধরে মারধর করতো।বেশি রোজগেরে ছিল রাজকুমারের ভাই দেবকুমার।পাশাপাশি অবিবাহিত দেবকুমারের সম্পত্তি যাতে ইমোন না নিতে পারে সেই কারনে মেরেছে বলে দাবি করেন ইমোনের মা রানি ভুঁইয়ার।এই বিষয়ে পূর্বেও বহু আলোচনা হয়েছে।বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও ওঠে।তার মধ্যেই এই ঘটনা।যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃত ইমোনের কাকা দেব কুমার।মৃত ইমোনের মা রানি ভুঁইয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে আজ নামখানা ব্লকের বিডিও ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে।যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয় নি।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584