নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
আর্থিক সংকটের কারণে এক প্রকার পড়াশুনা বন্ধ হতে চলেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ছাত্রী জয়শ্রী রানার। অবশেষে তাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব ৷ জয়শ্রীর স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া , তার পাশাপাশি জয়শ্রীর বাবা-মা চেয়েছিল এক মেয়েকে শিক্ষা দীক্ষায় বড় করে ডাক্তার কিংবা অ্যাডভোকেট বানাতে।
কিন্তু সমস্ত স্বপ্নের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অনটন। বছর দশেক আগে বাবা অসুস্থ হওয়ার পর পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন কাজ হারা অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন তিনি । সংসারের হাল ধরতে মা বাড়ির পরিচারিকার কাজ করেন। জানা গিয়েছে বাড়িতে ৪ জন সদস্য। খুব কষ্টে দিন কাটতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ময়নাডাল এলাকার বাসিন্দা জয়শ্রী রানার । মাধ্যমিক দেওয়ার পর পুরো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল ছাত্রী জয়শ্রী।
গ্রামে টিউশনি পড়িয়ে মা, বাবা ,ভাই কে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ তার পাশাপাশি ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ, বাবার ওষুধের সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল জয়শ্রী উপর। কিন্তু নিজের পড়াশোনা বন্ধ রাখেনি জয়শ্রী।এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩৬৫ প্রাপ্ত নম্বর পায়। এবার কলেজ জীবন শুরুর পালা। কিন্তু কলেজের পড়াশোনার খরচ বহন করার মতো পরিস্থিতি নেই জয়শ্রীর পরিবারের। জয়শ্রী জীবন থেকে পড়াশুনোর ভাবনা মুছে গিয়েছিল ভেবেছিল আর পড়াশোনায় এগোতে পারবে না ৷
তবে সেই আশা পূরণের লক্ষ্যে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিল জয়শ্রী। পাঁশকুড়া কলেজে ফর্ম ফিলাপও করে জয়শ্রী। কিন্তু অ্যাডমিশন ফি বা পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয় ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়শ্রী নিজেই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাঁশকুড়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী অনামিকা ব্যানার্জির সাথে যোগাযোগ করেন। কথা বলার পর কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিল জয়শ্রী।
আরও পড়ুনঃ পুরসভার লোন করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎয়ের অভিযোগে গ্রেফতার দুই মহিলা
এরপর ঘাটালের সাংসদ দীপক( দেব) অধিকারীর সঙ্গে ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক( দেব )অধিকারী নিজে জয়শ্রীর পাঁশকুড়া কলেজে অ্যাডমিশন ফি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করেন। জয়শ্রীর পড়াশোনা কোন রকম অসুবিধা হলে সাংসদ নিজেই দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। জয়শ্রী মা উমা রানা এবং বাবা অম্বরনাথ রানা বলেল যে সাংসদ দীপক (দেব)অধিকারী দেবদূত হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদ থানায় পুলিশের জালে পাকড়াও দুই গাঁজা পাচারকারী
আমরা খুব উপকৃত হলাম। আমাদের খুব দুশ্চিন্তা ছিল হয়তো আমরা আর আমাদের মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারতাম না ।আমাদের মেয়ের পড়াশোনার বন্ধ হতে বসেছিল, কিন্তু সাংসদ সহযোগিতা করায় আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে জয়শ্রী ৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584