সিএএ-এনআরসি- সহ একাধিক দাবি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ কৃষ্ণনগর সাংসদ মহুয়া মৈত্রের

বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন মহুয়া মৈত্র বিজেপির দিকে আঙুল তুলে বলেন, বিজেপি দলের মধ্যে মনুষ্যত্বের অভাব রয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৯ এর নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ২০১৪ তে যে ৩১% ও ২০১৯ এ যে ৩৭% মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, তাদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদীদের থেকেও সাধারণ মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। বিজেপিকে বিশ্বাস করে তারা ভোট দিয়েছিল। বিজেপির অন্যান্য নেতিবাচক দিকগুলি উপেক্ষা করেও ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’–এই ধ্যান ধারণায় ভরসা করে তারা বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি মহুয়ার।

পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্ব ও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ক্ষতির দিক তুলে ধরে মোদি সরকারের জিএসটি ও নোটবন্দী নিয়েও বলেন মহুয়া মৈত্র। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা বাড়ছে এবং এরকম পরিস্থিতিতে নোটবন্দী করে কালোবাজারিদের পাকড়াও করার আশ্বাস দিয়েও বিফল হয়েছে মোদি সরকার।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির ভোট প্রচারে যোগীর মুখে ৪৮ সেকেন্ডে ৮ বার পাকিস্তানের নাম

পাশাপাশি তিনি সিএএ, এনআরসি, এনপিআর এর চরম সমালোচনা করে বলেন, “ম্যাকিইউভেলিউন ধাঁচে প্রথমে চিহ্নিত, তারপর বঞ্চিত ও পরে নির্মূল করার পন্থা হল সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর। যাঁরা আপনাদের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এটা সবথেকে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। কেউই এই আমরা বনাম ওরা বিতর্ক জড়াতে চান না। আপনাদের নজরদারিতে তাঁদের নামে যা হচ্ছে তাতে আমার যে বন্ধুরা ২০১৪ সালে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও সন্ত্রস্ত।”